খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২ মামলার অভিযোগ গঠন শুনানি ৩০ জুন পর্যন্ত পেছাল

খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননা ও ১৫ আগস্ট 'ভুয়া জন্মদিন' পালনের অভিযোগে করা ২ মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত স্থগিত করেছেন ঢাকার একটি আদালত।

আজ মঙ্গলবার এ দুটি মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ নির্ধারিত থাকলেও, ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান নুর তা আজ ৩০ জুন পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছেন।

এর আগে মামলাগুলোর শুনানি স্থগিত চেয়ে খালেদার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার পৃথক দুটি আবেদন করেন।

এ নিয়ে বিভিন্ন সময় আসামিপক্ষ অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ১৮ বার তারিখ পেছানোর আবেদন জানালো।

সবশেষ গত ২৬ মে আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের দিন শুনানির তারিখের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।

আজ আবেদনে আইনজীবী বলেন, 'সরকারের নির্বাহী আদেশে কারাগারের বাইরে থাকা খালেদা জিয়া সম্প্রতি হার্টের সমস্যা নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেজন্য তিনি আদালতে হাজির হতে পারেননি। তাই শুনানি স্থগিত করা উচিত।'

তবে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে এ শুনানিতে মামলার অভিযোগকারীরা উপস্থিত ছিলেন না।

দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা 'অবমাননার' দায়ে খালেদা জিয়া ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর আওয়ামী লীগপন্থী সংগঠন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিক ঢাকার একটি আদালতে একটি মামলা করেন।

পরে জিয়াউর রহমানের নাম অভিযোগ থেকে বাদ দেন আদালত।

এছাড়া ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে 'ভুয়া জন্মদিন' পালনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ঢাকার আরেকটি আদালতে অপর মামলাটি করেন।

এগুলো ছাড়াও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো, নাইকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতির মামলা ঢাকার অপর ৩টি আদালতে বিচারাধীন।

এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় করা ৩টি অগ্নিসংযোগের মামলাসহ আরও কয়েকটি মামলা কুমিল্লা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

4h ago