টিপু হত্যায় মূল সন্দেহভাজন মুসা ওমানে গ্রেপ্তার: পুলিশ
মতিঝিলে আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজশিক্ষার্থী সামিয়া আফনান জামাল প্রীতি হত্যা মামলার প্রধান আসামি সুমন সিকদার মুসাকে ওমানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে ওমান থেকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ঢাকায় ইন্টারপোলের সমন্বয় সংস্থা পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো (এনসিবি) চেষ্টা করছে।
পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-এনসিবি) মহিউল ইসলাম আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মহিউল ইসলাম বলেন, 'টিপু হত্যা মামলার তদন্তে মুসার নাম সামনে আসার পর আমরা তাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের সহায়তা চেয়েছি। এই প্রচেষ্টার ভিত্তিতেই মুসাকে ওমানে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
'তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে আমরা ওমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি,' বলেন তিনি।
ওমানের সঙ্গে বাংলাদেশের এ সংক্রান্ত কোনো চুক্তি নেই উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, 'তবে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা আগামী সপ্তাহে ওমানে ৩ সদস্যের একটি দল পাঠানোর পরিকল্পনা করছি।'
গত ২৪ মার্চ রাতে শাহজাহানপুরের আমতলী এলাকায় হেলমেটধারী আততায়ীর গুলিতে নিহত হন টিপু। সে সময় গাড়ির কাছেই রিকশায় থাকা বদরুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সামিয়া আফনান প্রীতিও গুলিতে নিহত হন।
এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারহানা ইসলাম ডলি শাহজাহানপুর থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন।
মামলার তদন্তে নেমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মামলার আসামি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, আবু সালেহ সিকদার, নাসির উদ্দিন ওরফে কিলার নাসির, মোরশেদুল আলম ওরফে কায়লা পলাশ এবং আবুল হোসেন মোহাম্মদ আরফান উল্লাহ ইমাম খান ওরফে দামালকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, ১৫ লাখ টাকা চুক্তিতে টিপুকে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে ওমর ফারুক ৯ লাখ দেন এবং বাকি টাকা মুসা, মো. নাছির উদ্দিন, আবু সালেহ শিকদার দেন।
র্যাব আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের আগে ১২ মার্চ মুসা দেশ ছেড়ে দুবাই চলে যান।
Comments