দুই মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া। ফাইল ফটো

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ বৃহস্পতিবার আরও দুটি মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন। ২০১৪ সালে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার অভিযোগে এবং ২০১৭ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ মামলাগুলির বিষয়ে দুটি পৃথক রুল শুনানি করে স্থায়ী জামিন দেয়। এসব মামলায় আগে পাওয়া অন্তর্বর্তী জামিনের অপব্যবহার না করায় খালেদা জিয়া এবার স্থায়ী জামিন পেলেন।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন মোট ৩৭টি মামলার মধ্যে চারটি মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন।

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর আদালতে নালিশি মামলা করেন। মামলার আরজিতে বলা হয়, '২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া। সেদিন তিনি (খালেদা জিয়া) বলেন, 'আওয়ামী লীগ সব ধরনের মানুষের ওপর আঘাত করে। আর লোকদেখানো ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দখল করে নেয়। আওয়ামী লীগ ধর্মনিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। এ জবরদখলকারী সরকারের হাতে কোনো ধর্মের মানুষই নিরাপদ নয়।'

এই বক্তব্যের মাধ্যমে খালেদা জিয়া মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

২০১৭ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকার আদালতে দায়ের করা আরেকটি মানহানির মামলায় এ বি সিদ্দিকী দাবি করেন যে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের একটি অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া বলেছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, বরং তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন।

খালেদা জিয়ার দায়ের করা দুটি পৃথক জামিনের আবেদনের পর, ২০১৯ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট তাকে ছয় মাসের জামিন দেন এবং কেন তাকে এই মামলায় স্থায়ী জামিন দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। পরবর্তীতে, হাইকোর্ট বিভিন্ন সময়ে অন্তর্বর্তী জামিনের সময়সীমা বাড়ানোর আদেশ দেন।

Comments

The Daily Star  | English

Child rape cases rise nearly 75% in 7 months

Child rape cases in Bangladesh have surged by nearly 75 percent in the first seven months of 2025 compared to the same period last year, according to data from Ain o Salish Kendra (ASK).

6h ago