ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনা: ২ দিনের রিমান্ডে ট্রাকচালক

রাজু আহমেদ শিপন। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনায় বাবা-মাসহ এক সন্তানের মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ট্রাকচালক রাজু আহমেদ ওরফে শিপনকে (৪২) ২ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ময়মনসিংহ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ৩ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম সোহাগ শিপনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

ত্রিশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাইনউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে শুনানি শেষে আসামিপক্ষের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালত ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই ত্রিশালের কোর্টভবন এলাকায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাম করতে গিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ট্রাকের চাকায় প্রাণ হারান অন্তঃসত্ত্বা রত্না আক্তার (৩২), তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) এবং তাদের ৩ বছরের মেয়ে সানজিদা। দুর্ঘটনার সময় ভূমিষ্ঠ হয় নিহত রত্না আক্তারের শিশুকন্যা।

এ ঘটনার পর দিন নিহত জাহাঙ্গীর আলমের বাবা বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি মামলা করেন। পরে র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে ১৭ জুলাই রাতে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে ট্রাকচালক শিপনকে গ্রেপ্তার করে।

এদিকে, জন্ডিসে ও রক্ত শূন্যতায় আক্রান্ত নবজাতক ভালো আছে বলে জানান ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. ওয়ায়েজ উদ্দিন ফরাজী। গতকাল শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং সেখানে নবজাতক নিবিড় পরিচর্চা কেন্দ্রে (এনআইসিইউ) শিশুটির চিকিৎসা চলছে। একইসঙ্গে মঙ্গলবার সকালে তার চিকিৎসার জন্য নিউনেটাল বিভাগের বিভাগীয় প্রধানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।

ডা. ওয়ায়েজ উদ্দিন ফরাজী জানান, শিশুটিকে রক্ত দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনায় শিশুটির ডান হাতের হাড় ভেঙে যায়। জন্ডিসের জন্য শিশুটিকে ফটোথেরাপি দেওয়া হচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী তার সার্বিক চিকিৎসা চলছে।

Comments

The Daily Star  | English

How frequent policy shifts deter firms from going public

If a company gets listed, it will enjoy tax benefits, and this is one of the major incentives for them to go public..However, the government’s frequent policy changes have disheartened listed firms many times, as they faced higher tax rates once they got listed..It gave a clear, nega

54m ago