মাঠে ফসল নেই, বন্যায় বেশি ক্ষতি হবে না: কৃষিমন্ত্রী

বন্যায় বড় ধরনের ফসলহানির সম্ভাবনা না থাকার কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এ বন্যায় যতটুকু ক্ষতি হবে, সেটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।
ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কনভেনশন হলে সেমিনারে বক্তব্য দেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। ছবি: সংগৃহীত

বন্যায় বড় ধরনের ফসলহানির সম্ভাবনা না থাকার কথা জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এ বন্যায় যতটুকু ক্ষতি হবে, সেটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে।

আজ রোববার সকালে ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কনভেনশন হলে কৃষি তথ্য সার্ভিসের আয়োজনে 'বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি ও গণমাধ্যম' শীর্ষক সেমিনারে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বন্যায় আমন ধানের ক্ষতি হবে না। দেশে এখনো খুব বেশি বীজতলা করা হয়নি। যা হয়েছে সেটা নষ্ট হলেও খুব সমস্যা হবে না। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত বীজ আছে, পরে এগুলো চাষিদের দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, আউশের ক্ষতি একটু বেশি হতে পারে। এখন ১৩ লক্ষ হেক্টর আউশের টার্গেট করেছিলাম, লাগানো হয়েছে ১১ লক্ষ হেক্টর। এর মধ্যে ২২ হাজার হেক্টর এখন পর্যন্ত প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ৩ লাখ ৮৭ হাজার হেক্টরে বিভিন্ন শাকসবজি আছে, সেগুলোর কিছু ক্ষতি হবে।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দুর্যোগপ্রবণ দেশ। এখানে মৌসুমি ফসলের প্রায়ই ক্ষতি হয়। কৃষকরা সেভাবে প্রস্তুতি রাখে। আমরাও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সে ক্ষতি পূরণ করব। তারপরও যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, বন্যা ধেয়ে আসছে, আকস্মিক বড় ক্ষতি হবে কি না সেটা জানি না।

তিনি বলেন, যদি বড় কোন ক্ষয়ক্ষতি হয় সেটা পুষিয়ে নেয়ার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে। আমরা পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখেছি।

আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, নানা সমস্যার কারণে এ দেশে বহুবার খাদ্য সংকটের নজির আছে। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়ে কখনো খাদ্যের অভাব হয়নি।

তিনি বলেন, এ বছর ২৮ হাজার কোটি টাকা সারে ভর্তুকি দিয়েছি। যেটা অন্যান্য দেশও পারেনি। সেজন্য বিশ্ববাজারে সারের অস্বাভাবিক দাম বাড়লেও এদেশে সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।

Comments