‘তথ্য ঘাটতির কারণে অভিবাসী নারী কর্মীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন’

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সিডব্লিউসিএসের সংবাদ ব্রিফিং। ছবি: সংগৃহীত

অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তথ্য ঘাটতি ও অজ্ঞতার কারণে অভিবাসী নারী কর্মীদের দেশে-বিদেশে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বক্তারা এ কথা বলেন।

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সহায়তায় সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজ (সিডব্লিউসিএস) অভিবাসী নারী কর্মীদের অধিকার সংক্রান্ত এ সংবাদ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে।

ব্রিফিংয়ে বক্তারা বলেন, 'এ সমস্যা সমাধানে অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলোকে শক্তিশালী করা উচিত।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর মাইগ্রেশন পলিসি ডেভেলপমেন্টের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর মোহাম্মদ ইকরাম হোসেন বলেন, 'দেশের প্রতি ইউনিয়ন পরিষদে নারী অভিবাসন কমিটি গঠন করা জরুরি।'

সিডব্লিউসিএসের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ইসরাত শামীম বলেন, 'স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে জানতে হবে কে কার বা কোন সংস্থার মাধ্যমে বিদেশে যাচ্ছেন।'

'নারী অভিবাসীদের ডিজিটাল জ্ঞানের ওপর শিক্ষা দেওয়া উচিত,' বলেন তিনি।

সিডব্লিউসিএসের কার্যনির্বাহী সদস্য রীতা ভৌমিক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

বক্তব্যে তিনি গণমাধ্যমে অভিবাসী কর্মীদের জন্য সেবা সংক্রান্ত তথ্য ঘাটতির কথা উল্লেখ করেন।

১৯৯১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত প্রায় ১০ লাখ ৫১ হাজার বাংলাদেশি নারী অভিবাসী কর্মী বিদেশে গেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, 'হয়রানির ঘটনাগুলো গণমাধ্যমে এলেও, অভিবাসন প্রক্রিয়া ও সেবা সম্পর্কে তথ্যের বিষয়ে খুব কম ফোকাস করা হয়।'

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম সমন্বয়কারী মহুয়া লেয়া ফলিয়া বলেন, 'গণমাধ্যমগুলোর নারী অভিবাসী কর্মীদের বিষয়ে সংবাদ করার সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন তাদের কোনোভাবেই অসম্মান না করা হয়।'

ব্রিফিংয়ে দ্য নিউ এজের সাংবাদিক রাশেদ আহমেদ বলেন, 'অভিবাসী কর্মীদের সমস্যা নিয়ে সংবাদ করা মিডিয়ার দায়িত্ব। নারী কর্মীদের অভিবাসন প্রক্রিয়ার উন্নতিতে ফোকাস করা উচিত।'

সিডব্লিউসিএসের কোষাধ্যক্ষ নুসরাত সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অভিবাসী কর্মীদের কল্যাণে কাজ করা বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago