ত্রিপুরায় চোর সন্দেহে বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যা

সোমবার রাতে আখাউড়া চেকপোস্টে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার টাকারজলা থানার ওসি আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে মরদেহটি হস্তান্তর করে। ছবি: সংগৃহীত

মোটরসাইকেল চোর সন্দেহে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে এক বাংলাদেশি যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত আরেক যুবক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহত ডালিম মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের মাদলা গ্রামের বাসিন্দা। তার সঙ্গে থাকা জহিরুল ইসলাম ত্রিপুরার আগরতলার একটি হাসপাতালে ভর্তি।

হত্যাকাণ্ডের ৩ দিন পর গতকাল সোমবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের শূন্য রেখায় ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার টাকারজলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবানন্দ রিয়াং আখাউড়া থানা পুলিশের কাছে ডালিমের মরদেহ হস্তান্তর করেন।

আজ আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, 'মরদেহ হস্তান্তরের সময় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফসহ ত্রিপুরায় নিযুক্ত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।'

মরদেহ হস্তান্তরের সময় ত্রিপুরা রাজ্যের টাকারজলা থানার ওসি দেবানন্দ রিয়াং সাংবাদিকদের জানান, রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার টাকারজলা থানাধীন গোলাঘাটী গ্রামের একটি বিদ্যালয় থেকে শনিবার সকালে এক শিক্ষকের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। এ সময় ওই এলাকার বাসিন্দারা তাদের চোর সন্দেহ করে ধাওয়া দেয়।

এক পর্যায়ে তারা ডালিম মিয়াকে ধরে ফেলে। তাদের পিটুনিতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান বলে ওসি দেবানন্দ জানান।

তিনি আরও জানান, এ সময় জহিরুল নামে আরেক বাংলাদেশি যুবক গুরুতর আহত হন। বাকিরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। জহিরুলকে টাকারজলা থানা পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তবে ডালিমের পরিবারের অভিযোগ, একটি পক্ষ তাকে ভারতে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

ডালিমের বাবা মোহন মিয়া বলেন, পারিবারিক শত্রুতার জেরে প্রতিবেশীরা ডালিমকে ভারতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে।

আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, 'যেহেতু হত্যাকাণ্ডটি ভারতে ঘটেছে, সুতরাং ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয়ে বিচার চাইলে ভারতের আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।'

Comments

The Daily Star  | English
Banks deposit growth in 2024

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

13h ago