‘আমরা জামদানি-ইলিশ পাঠাই, ভারত দেয় ফেলানীর লাশ আর ফেনসিডিল’

আখাউড়ায় লংমার্চ পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য দেন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন। ছবি: স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিএনপির তিন অঙ্গ-সংগঠন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের লংমার্চ থেকে ভারতের প্রতি সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধ করে বন্ধুত্বের আহ্বান জানানো হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে লংমার্চটি আখাউড়ায় পৌঁছায়। আখাউড়া স্থলবন্দরে আয়োজিত সমাবেশে ভারতকে প্রভুত্ব ছাড়ার বার্তা দিয়ে বন্ধুত্বের আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি সব ধরনের ষড়যন্ত্র বন্ধে ভারতের প্রতি হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

আগরতলা সহকারী হাইকমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকা অবমাননা, মিডিয়ায় অপপ্রচার, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এ লংমার্চ করে।

ঢাকার নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে সকালে রওনা দেয়। তবে যানজটের কারণে সব গাড়ি বন্দর এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি। 

এর আগে সকাল থেকে অন্তত ৮-১০টি জেলার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ আখাউড়া আসতে থাকেন। দুপুরে বন্দর এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়।

সেখানে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এস জিলানী। প্রধান অতিথি ছিলেন যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।

মোনায়েম মুন্না বলেন, 'বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনচেতা। বাংলাদেশের বাইরে প্রভু নেই। ভারত নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সার্বভৌম প্রশ্নে এদেশের মানুষ প্রয়োজনে ঝুঁকি নিতে রাজি।'

যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, 'ভারতে বাংলাদেশের পতাকা পোড়ানোর সময় সেখানে পুলিশ ছিল নীরব। তারা প্রতিবেশী দেশ, কিন্তু বন্ধু হতে পারেনি। তারা তিস্তার পানি না দিলেও ফেনী নদী থেকে পানি নিয়ে গেছে। তারা পররাষ্ট্রনীতি কী হবে শেখায়, আগে তাদের জাহাজ ভিড়তে দিতে হয়।'

'স্বাধীনতার পর থেকে তারা শোষণ করছে। আমরা জামদানি পাঠাই, ইলিশ পাঠাই। তারা ফেলানীর লাশ দেয় আর ফেনসিডিল দেয়,' বলেন তিনি।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, 'এ দেশে আওয়ামী লীগের কোনো অস্তিত্ব নেই। এ দেশের মানুষ ভারতের আগ্রাসী মনোভাব মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ। আবার যদি পতাকা অবমাননা হয় তাহলে আমরা এর কঠোর জবাব দেবো।'

সকাল থেকে আশপাশের ৮-১০টি জেলার বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আখাউড়া যান। দুপুরে বন্দর এলাকায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Bank governor Ahsan H Mansur's remarks

Bangladesh in ‘intensive discussion’ with UK to recover laundered money: BB governor

Mansur said Bangladesh had requested mutual legal assistance from several countries, including the UK

1h ago