‘জাতির স্বার্থে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনিবার্যভাবে প্রয়োজন’
অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনিবার্যভাবে জাতির স্বার্থে প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
সিইসি বলেন, আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা পুনর্ব্যক্ত করেই যাচ্ছি। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে অংশ নিতে বারবার আহ্বান জানাচ্ছি। অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনিবার্যভাবে জাতির স্বার্থে প্রয়োজন। সে লক্ষ্যে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
সিইসি আরও বলেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতা, প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রয়োজন। পক্ষ-প্রতিপক্ষের সক্রিয় অংশগ্রহণে নির্বাচনে একটি ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হয়ে থাকে। এতে করে সম্ভাব্য অনিয়ম, কারচুপি, দুর্নীতি, অর্থ শক্তির বৈভব ও পেশি শক্তির প্রভাব বহুলাংশে নিয়ন্ত্রিত হতে পারে। এটা আমরা আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি।
সংলাপে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম এ মুকিতের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।
চেয়ারম্যান এম এ মুকিতের নেতৃত্বে দলটি ১৩ দফা কমিশনের কাছে সুপারিশ রাখে।
সংলাপের সমাপনী বক্তব্যে সিইসি বলেন, 'আপনারা যেসব কথা বলেছেন অনেক দল একথাগুলো বলেছে। আপনাদের নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার, নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার- বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাবনা আছে। বিভিন্ন দল থেকেও এসেছে। এগুলো নিয়ে আমাদের তরফ থেকে কিছু করার থাকলে... হয় এগুলো পলিটিক্যাল বিষয়। আপনাদের দাবিগুলো সরকার জানবেন এবং আপনাদের দাবির চাপ কতটুকু- এগুলো সরকারকেও বুঝতে দিবেন। এগুলো পলিটিক্যাল ইস্যু, সাংবিধানিক ইন্টারভেশন প্রয়োজন হতে পারে।'
তিনি বলেন, 'জাতীয় নির্বাচনটা কিন্তু হেলাফেলার জিনিস নয়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি দল নির্বাচিত হবেন এবং তারা সরকার গঠন করবেন। ... কাজেই আমরা মনে করি নির্বাচনটি হেলাফেলা নয়। সত্যি, জনপ্রতিনিধিত্বমূলক ও জনগণের সমর্থন নিয়ে সে সরকার গঠিত হওয়া উচিত। এ জন্য নিরপেক্ষ অবাধ নির্বাচন প্রয়োজন।'
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামর্থ্য অনুযায়ী ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসানোর চেষ্টা করার আশ্বাস দেন সিইসি।
Comments