‘সন্ধ্যার পর ভোট গণনা শুরু হলে জিন, ভূত যা কিছু আছে সব দেখা যায়’

এ.টি.এম. শামসুল হুদা, বিচারপতি আব্দুর রউফ ও কে এম নুরুল হুদা। ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সংলাপ হয়েছে আজ রোববার। সংলাপে অংশ নিয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতা এবং সেই আলোকে আগামী নির্বাচনে করণীয় সম্পর্কে নিজেদের মতামত দিয়েছেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনাররা।

নিজের বক্তব্য উপস্থাপন করে সদ্য সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ দরকার। আমি জিতব, অবশ্যই জিতব—এই মানসিকতা থেকে বের হতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগের দরকার নেই। নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী কোনো কাজে আসে বলে আমি মনে করি না।'

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ.টি.এম. শামসুল হুদা বলেন, 'সব দল না আসলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। সব দলকে কীভাবে নির্বাচনে আনবেন সেটা আপনাদের ক্ষমতা ও বোঝানোর সক্ষমতার ওপর নির্ভর করছে।'

তিনি আরও বলেন, 'একটি রাজনৈতিক দল একটি গণতান্ত্রিক দেশে বেশি দিন নির্বাচনের বাইরে থাকতে পারে না। উই হ্যাভ টু ক্রিয়েট দ্যাট এনভায়রনমেন্ট (সেই পরিবেশটা আমাদের তৈরি করতে হবে)।'

'আমাদের দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ট্রুলি ইলেকটেড (সত্যিকারের নির্বাচিত) সরকার আসুক, মাস্তানি কমে যাক,' যোগ করেন তিনি।

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আব্দুর রউফ বলেন, 'আপনারা যদি এজ ইট ইজ রাখেন, কোনো চেঞ্জ করতে না সাহস না করেন, তাহলে প্রতি ৫০০ জনের জন্য ১টি পোলিং স্টেশন তৈরি করুন। এতে ভোটের সময় কমে যাবে, ৮টা থেকে ১২টার মধ্যে ভোট শেষ হবে। দিনে দিনে ভোট গণনা শেষ করতে পারবেন। যে জিনিসটা সবচেয়ে খারাপ—ভোট গণনার সময় শুরু হয় সন্ধ্যার পর। আর আমরা দেখি সন্ধ্যার পর জিন, ভূত যা কিছু আছে সব দেখা যায়। বাতি নিভতে শুরু করলে শুরু হয় তাদের আনাগোনা।'

কে এম নুরুল হুদা ২০১৭ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, এ.টি.এম. শামসুল হুদা ২০০৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০১২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এবং বিচারপতি আব্দুর রউফ ১৯৯০ সালের ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৫ সালের ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago