৪ কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাবেন সাক্কু

মনিরুল হক সাক্কু। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ৪টি কেন্দ্রের ভোট বাতিল করে পুনর্নির্বাচন ও ফলাফলের গেজেট স্থগিতের দাবিতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাবেন মেয়র পদে পরাজিত প্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু।

আজ বুধবার বিকেলে মনিরুল হক সাক্কু দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, 'আমি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তাদের পরামর্শে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে ৪টি ভোট কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ করেছি। ওই ৪ কেন্দ্র ছাড়াও নেইউরা কেন্দ্র নিয়ে অভিযোগ আছে। সেখানে প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে বুথে প্রবেশে করতে না দেওয়ার লিখিত অভিযোগ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট।'

তিনি আরও বলেন, 'এ ছাড়াও ভিক্টোরিয়া কলেজ কেন্দ্র থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে শিল্পকলা একাডেমি, সেখান থেকে ফলাফল প্রকাশে দেরিও অযৌক্তিক। দিশাবন্দের নতুন পুরাতন ভবনের ২ কেন্দ্রের ফলাফলে আমার এজেন্টের স্বাক্ষরে মিল নেই। আর শালবনবিহার কেন্দ্রের ফলাফলে কারো স্বাক্ষর নেই।'

তিনি দাবি করেন, 'রিটার্নিং অফিসারের যোগসাজশে নির্বাচনের ফলাফলে কারচুপি হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কারণে কেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল।'

এর আগে, গত ২৪ জুন ৪টি ভোট কেন্দ্রের ভোট বাতিল চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদনে করেন মনিরুল হক সাক্কু। এর পরদিন ২৩ জুন কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবি চৌধুরী বলেন, 'নির্বাচনে কোনো কারচুপি হয়নি। আমরা ইতোমধ্যে তা পরিষ্কার করেছি। গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে যে কোনো প্রার্থী নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারেন।'

গত ১৫ জুনের কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মনিরুল হক সাক্কু ৩৪৩ ভোটে আ. লীগ প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কাছে পরাজিত হন। নির্বাচনে আ. লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত নৌকা প্রতীকে ৫০ হাজার ৩১০ ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক মেয়র সাক্কু পান ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।

Comments

The Daily Star  | English
AI-manipulated image of Shahbagh engineering students’ protest, DMP claims

Debunking DMP claim, frame by frame

The Daily Star photographer, who was present at the scene, described the incident as it unfolded

5h ago