Skip to main content
T
শনিবার, মার্চ ২৫, ২০২৩
The Daily Star Bangla
আজকের সংবাদ English
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • স্বাস্থ্য
  • খেলা
  • বাণিজ্য
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • প্রযুক্তি
  • প্রবাসে
  • E-paper
  • English
অনুসন্ধান English T
  • আজকের সংবাদ
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • স্বাস্থ্য
  • খেলা
  • বাণিজ্য
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • প্রযুক্তি
  • প্রবাসে

  • ABOUT US
  • CONTACT US
  • SMS SUBSCRIPTION
  • ADVERTISEMENT
  • APPS
  • NEWSLETTER
বাংলাদেশ

পেশা ছাড়ছেন রংপুরের মনসামঙ্গল শিল্পীরা

মাত্র এক যুগ আগেও রংপুর অঞ্চলে মনসামঙ্গল গীতের রমরমা অবস্থা ছিল। এই গীতের শিল্পীদের ছিল সন্তোষজনক কদর। সারা বছরই ছিল তাদের ডাক। এখন কদাচিৎ আয়োজন হয় মনসামঙ্গলের আসর।
এস দিলীপ রায়
এস দিলীপ রায়
মঙ্গলবার আগস্ট ২, ২০২২ ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন সর্বশেষ আপডেট: মঙ্গলবার আগস্ট ২, ২০২২ ০৯:৪০ পূর্বাহ্ন
মনসামঙ্গল
লালমনিরহাট সদর উপজেলার উত্তর সাপ্টানা রায়পাড়া গ্রামে মনসামঙ্গল গীতের আসর। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

মাত্র এক যুগ আগেও রংপুর অঞ্চলে মনসামঙ্গল গীতের রমরমা অবস্থা ছিল। এই গীতের শিল্পীদের ছিল সন্তোষজনক কদর। সারা বছরই ছিল তাদের ডাক। এখন কদাচিৎ আয়োজন হয় মনসামঙ্গলের আসর।

প্রায় বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প। মনসামঙ্গল গীত শিল্পের সঙ্গে জড়িত অধিকাংশ শিল্পীই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। যারা এখনো এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে করতে হচ্ছে মানবেতর জীবনযাপন।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।

মনসামঙ্গল শিল্পীরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সাপের দেবী মনসাকে খুশি রাখতে মনসামঙ্গল গীতের আয়োজন করা হয়ে থাকে। অনেকে মনসা দেবীর কাছে মানত করে মনের ইচ্ছা পূরণ করায় মনসামঙ্গল গীত আয়োজন করেন।

প্রতিটি মনসামঙ্গল গীতের আসরে ১২ থেকে ১৫ শিল্পী অংশ নেন। তাদের মধ্যে থাকে মূল গিদাল (গায়ক), ৬ থেকে ৭ জন থাকেন সহশিল্পী, একজন কৌতুক অভিনেতা ও অন্যরা থাকেন বাদ্যযন্ত্র শিল্পী হিসেবে।

মনসামঙ্গল
ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

মনসামঙ্গল গীতের আসরে মনসা দেবীকে আরাধনা ছাড়াও এ আসরে থাকে কৌতুক, বিয়ের গীত, ভাওয়াইয়া ও খনার বচন। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী মনসামঙ্গল গীতে পুরুষেরা নারী সেজে নেচে-গেয়ে বিনোদন দিয়ে থাকেন। নারী-পুরুষ সবাই বিমোহিত হয়ে রাত জেগে মনসামঙ্গল গীত উপভোগ করেন।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার উত্তর সাপ্টনা রায়পাড়া গ্রামে ৪ দিনব্যাপী আয়োজন করা হয়েছিল মনসামঙ্গল গীতের আসর। গত শনিবার রাতে শেষ হয় এ আসর। সেখানে ১৩ শিল্পী অংশ নিয়েছিলেন। মূল গিদাল (গায়ক) ছিলেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ী গ্রামের পল্লব চন্দ্র রায় (৪৪)।

সেই আসরের অন্য শিল্পীরা লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও রংপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছিলেন। ৪ দিনের আসরের জন্য শিল্পীদের ২০ হাজার টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। রায়পাড়া গ্রামের নগেন চন্দ্র রায় (৬০) এ আসরের আয়োজন করেন।

নগেন চন্দ্র রায় ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মনসা দেবীর কাছে মানত থাকায় মনসামঙ্গল গীতের আয়োজন করেছি। প্রায় ১০ বছর এ আসরের আয়োজন করছি।'

'আমাদের সংস্কৃতি অনেক বদলে গেছে' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'নেহাত প্রয়োজন ছাড়া মনসামঙ্গল গীত আয়োজন করা হয় না।'

মনসামঙ্গল
ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

মনসামঙ্গল গীতের প্রধান গিদাল (গায়ক) পল্লব চন্দ্র রায় ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পরিশ্রম অনুযায়ী পারিশ্রমিক পাই না। যেহেতু এ শিল্পের সঙ্গে আমাদের আত্মার সম্পর্ক, তাই কম পারিশ্রমিকে মনসামঙ্গল গীত পরিবেশন করি।'

তিনি আরও বলেন, 'কয়েক বছর আগেও প্রায় সারা বছরই আমাদের ডাক আসতো। এখন বছরে ৭০ থেকে ৮০ দিন এ গীতের আসর করতে পারি।'

তিনি জানান, অধিকাংশ শিল্পী এ পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। বলেন, 'আমরাও এ পেশা ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।'

রংপুর থেকে আসা মনসামঙ্গল শিল্পী সুধান চন্দ্র রায় (৩৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রায় ১২ বছর বয়স থেকে মনসামঙ্গল গীতের সঙ্গে যুক্ত। নারী সেজে নেচে-গেয়ে দর্শকদের আনন্দ দিই। প্রতিদিন ৪০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা মজুরি পাই। এ টাকায় সংসার চলে না। বছরের বেশিভাগ সময়ই কাজ থাকে না।'

'মনসামঙ্গল গীতের সঙ্গে এতই নিবিড়ভাবে জড়িত যে তা ছাড়তে পারছি না,' মন্তব্য করেন তিনি।

গাইবান্ধা থেকে আসা শিল্পী রামচরণ রায় (৩৩) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটা ভাবতে খুব কষ্ট হয়, মনসামঙ্গল গীত হারিয়ে যাচ্ছে। পরিচিত অনেক শিল্পী এ পেশা ছেড়ে দিনমজুরি করছেন। আমাদের পেশাকে টিকিয়ে রাখতে কেউ পৃষ্ঠপোষকতা করছেন না।'

তার আশঙ্কা, 'আগামী কয়েকবছর পর মনসামঙ্গল গীতের কোনো শিল্পী খুঁজে পাওয়া যাবে না।'

লোকগীতি গবেষক অধীন চন্দ্র বৈরাগী (৭৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কোথাও মনসামঙ্গল গীত হচ্ছে জানলে ছুটে যাই। অনেক মানুষ এখনো রাত জেগে মনসামঙ্গল গীত উপভোগ করেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকলে গ্রামবাংলার এই ঐতিহ্যবাহী গীত বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হবে।'

'মনসামঙ্গল গীতের শিল্পীরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন,' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'সরকারের উচিত তাদেরকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া।'

সম্পর্কিত বিষয়:
মনসামঙ্গলমনসামঙ্গল গীতমনসা দেবীকৌতুকবিয়ের গীতভাওয়াইয়াখনার বচনলালমনিরহাটকুড়িগ্রামগাইবান্ধারংপুর
Apple Google
Click to comment

Comments

Comments Policy

সম্পর্কিত খবর

২ মাস আগে | বাংলাদেশ

তীব্র শীতে কাতর লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম

১ মাস আগে | ইতিহাস

ইংরেজিতে লেখায় রংপুরে বিচারকের কলম ভাঙলেন মিলি চৌধুরী

৩ সপ্তাহ আগে | দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ড

লালমনিরহাটে অটোরিকশায় ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ২

১ মাস আগে | শিক্ষা

৫ মাস পর বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখলমুক্ত

৪ মাস আগে | বাংলাদেশ

রংপুরগামী বাস বন্ধে দুর্ভোগে বগুড়া-গাইবান্ধার যাত্রীরা

The Daily Star  | English

Breaking fast with Chawkbazar delicacies

Rabin Bhuiyan, a 27-year-old resident of Narayanganj, arrived at the Chawkbazar iftar market around 11:00am to purchase traditional iftar items. However, the shops of the makeshift market were not set up at that time. He performed juma prayers at the ancient Chawkbazar Shahi Jame Masjid next to the bazaar with his younger brother Miraz Hossain before making their purchases.

1h ago

14 dead in US strikes on Syria after drone kills American contractor

36m ago
The Daily Star
সাহসিকতা • সততা • সাংবাদিকতা
  • ABOUT US
  • CONTACT US
  • SMS SUBSCRIPTION
  • ADVERTISEMENT
  • APPS
  • NEWSLETTER
© 2023 thedailystar.net | Powered by: RSI LAB
Copyright: Any unauthorized use or reproduction of The Daily Star content for commercial purposes is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.