গাইবান্ধায় বিপৎসীমার ওপরে যমুনা, বন্যার আশঙ্কা

উজানের পানি আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড
বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার ইছামারা গ্রামে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। ছবিটি গতকাল তোলা। ছবি: সংগৃহীত

উজানের পানিতে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে দেখা দিয়েছে স্বল্পমেয়াদি বন্যা। আজ সকাল সাড়ে ১১টায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে আট সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ৬০ সেন্টিমিটার।

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর পানি বাড়ায় বন্যাকবলিত হতে শুরু করেছে জেলার চরাঞ্চল।

গাইবান্ধার  ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি চরের কৃষক মুখদুম ইসলাম বলেন, গত তিন দিন ধরে পানি অনেকটা বেড়েছে। গ্রামের চারদিকে পানি ঢুকলেও এখনও বাড়িতে ওঠেনি। তবে এখন চরাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দী। যাদের নৌকা নেই তাদের যাতায়াতে কষ্ট হচ্ছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, উজানের পানি আরও বাড়তে পারে। আগামী ৭ জুলাই থেকে পানি আবার কমতে পারে। তবে এর মধ্যে চরাঞ্চলে একটি স্বল্পমেয়াদি বন্যা হবে।

এদিকে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি সকাল ৯ টায় বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, পানি আপাতত বাড়তে থাকবে। জুলাইয়ের মাঝামাঝি পানি আবার কমবে। এর মধ্যে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে।

এদিকে বগুড়া সারিয়াকান্দি উচামারা গ্রামে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। ভয়ে অনেকে বাড়ি-ঘর ভেঙে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হল বলেন, 'ইচারমারায় সামান্য ভাঙন আছে। সেখানে ১৭০০ মিটারের বাঁধে আমরা ১৩০০ মিটারে জিও ব্যাগ ফেলেছি। বাকি ৪০০ মিটারেও কাজ চলেছে। স্থানীয়রা ভাঙন আতঙ্কে থাকলেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাউবোর এক কর্মকর্তা জানান, ইচারমারা বাঁধ ভাঙলে বগুড়া এবং সিরাজগঞ্জের ৫টি উপজেলায় বন্যার পানি প্রবেশ করবে।

Comments