সিরাজগঞ্জ-বগুড়া মহাসড়কের ২২ কিমিতে যান চলাচলে ধীরগতি

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশের মহাসড়কে জট না থাকলেও ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। হাইওয়ে পুলিশের ধারণা, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
jam_9jul22.jpg
ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম পাশের মহাসড়কে জট না থাকলেও ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। হাইওয়ে পুলিশের ধারণা, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়ন থেকে রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা পর্যন্ত সিরাজগঞ্জ-বগুড়া মহাসড়কে ২২ কিলোমিটার পথে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন। এর প্রভাব পড়েছে সেতুর পশ্চিম পাশের সড়কে। তবে হাটিকুমরুল গোল চত্বরের পর থেকে নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গাগামী গাড়িগুলো স্বাভাবিক গতিতে চলছে।

আজ শনিবার সকালে হাটিকুমরুল হাইওয়ে পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আজ মূলত ভোগান্তিতে পড়েছেন বগুড়া-রংপুর রুটের যাত্রীরা। চান্দাইকোনা এলাকায় সাপ্তাহিক হাট বসে শনিবার। ঈদের আগে আজ শেষ হাট। যে কারণে সকাল থেকেই ভিড়। পশুবাহী যানবাহন বেড়ে যাওয়ায় চান্দাইকোনা হয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।

হাটিকুমরুল থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তায় থেমে থেমে চলছে বগুড়া-রংপুরসহ উত্তরবঙ্গের ১২ জেলার যানবাহন। এর প্রভাবে পড়েছে সেতুর পশ্চিম পাশের মহাসড়কে। উত্তরবঙ্গগামী যানবাহনগুলোর অনেক বেশি সময় লেগে যাচ্ছে, বলেন লুৎফর রহমান।

গতকাল বিকেলে ঢাকা থেকে গাড়িতে উঠে আজ সকালে পাবনা এসে পৌছান মো. ফারুক হোসেন। ফারুক ডেইলি স্টারকে বলেন, অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে আব্দুল্লাপুর, চন্দ্রা, এলেঙ্গাসহ বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড়ের প্রতিটি পয়েন্টে অতিরিক্ত সময় লেগেছে। মাঝ রাতে আমরা বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়েছি। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে সেতু পার হওয়ার পরে পাবনা পৌঁছাতে ২ ঘণ্টা সময় লাগার কথা। অথচ লেগেছে ৬ ঘণ্টা। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসতে যার পর নেই দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

একই অবস্থা উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলার যাত্রীদের। লুৎফর রহমান আরও বলেন, বেলা বাড়লে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। গতকাল ভয়াবহ যানজটের কারণে আনেক গাড়িই সময় মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে গতকালের যাত্রী নিয়ে এখনো অনেকে যানবাহন আসছে।

Comments