সৌদি অর্থায়নে ৫, চীনের অর্থায়নে ১ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সৌদি আরবের অর্থায়নে দেশের ৫টি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বার্ন ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক। ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, সৌদি আরবের অর্থায়নে দেশের ৫টি বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে বার্ন ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে আজ সোমবার সংসদে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে প্রশ্নটি উত্থাপন করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদপুরে বার্ন ইউনিট স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি গত বছরের ৭ ডিসেম্বর একনেক সভায় অনুমোদিত হয়।

এ ছাড়া, চীন সরকারের অর্থায়নে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট বার্ন ইউনিট চালু করা হবে। পাশাপাশি, চতুর্থ সেক্টর কর্মসূচির আওতায় ময়মনসিংহ জেলায় একটি ও খুলনা জেলায় একটি বার্ন ইউনিট স্থাপন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

এম আবদুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তিকে যখন হাসপাতাল বা ক্লিনিক অথবা চিকিৎসকদের কাছে নেওয়া হয়, তখনই ওই ব্যক্তিকে জরুরি চিকিৎসা সেবা প্রদানে অসম্মতি জ্ঞাপনের কোনো সুযোগ নেই।

এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে কঠোর নির্দেশনামূলক চিঠি দেওয়া হয়েছে এবং এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নিয়মিত তদারকি করা হয়ে থাকে।

বিএনপির সংসদ সদস্য জিএম সিরাজের প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক জানান, মাদকসেবীদের চিকিৎসাসেবা দেওয়ার জন্য ভবিষ্যতে পর্যায়ক্রমে সব জেলায় সরকারি হাসপাতালগুলোতে পৃথক ইউনিট চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আমিনুল ইসলামের এক প্রশ্নের উত্তরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী  জানান, মান-বহির্ভূত হওয়া এবং অন্যান্য অনিয়মের কারণে ২০২১ সালে ১৩৬টি বাণিজ্যিক ওষুধের রেজিস্ট্রেশন সাময়িক বাতিল করেছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর পরিচালিত মোবাইল কোর্ট।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও জানান, ২০২১ সালে ৪৯টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন লাইসেন্স সাময়িকভাবে বাতিল করা হয়েছে। 

এ ছাড়া, ওই একই সময়ে ১৪টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের ওষুধ উৎপাদন ও বাজারজাতকরণ স্থগিত করা হয়েছে।

এ সময়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর পরিচালিত মোবাইল কোর্টে ২০৩৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং ২ দশমিক ৬৭ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

Comments