হ্যাচারির বর্জ্য সাগরে ফেলায় কক্সবাজারের জীববৈচিত্র্য ঝুঁকিতে: সংসদীয় কমিটি

চিংড়ির রেনু পোনার হ্যাচারি থেকে ক্ষতিকর পদার্থ সাগরে ফেলার কারণে কক্সবাজারের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছে একটি সংসদীয় কমিটি।
কক্সবাজারে শিশু আলো হত্যা মামলায় ৬ আসামির মৃত্যুদণ্ড

চিংড়ির রেনু পোনার হ্যাচারি থেকে ক্ষতিকর পদার্থ সাগরে ফেলার কারণে কক্সবাজারের জীববৈচিত্র্য ও পরিবেশ মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছে একটি সংসদীয় কমিটি।

আজ রোববার গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত আলোচনা হয়।

সব হ্যাচারি মালিককে ইটিপির মাধ্যমে হ্যাচারির বর্জ্য প্রকিয়াকরণে বাধ্য করার জন্য অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে বলেছে কমিটি।  

জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

কক্সবাজার ও এর আশেপাশের এলাকায় প্রায় ৪০টি চিংড়ি হ্যাচারি রয়েছে। এসব হ্যাচারিতে প্রতিদিন ৫ টন ওজনের ট্যাঙ্কের পানি পাল্টাতে হয়, যে পানিতে উচ্ছিষ্ট খাদ্য, মলমূত্রসহ বিভিন্ন বর্জ্য থাকে।

হ্যাচারি মালিকরা জানিয়েছেন, একেকটি হ্যাচারিতে ৩০টি বা তারও বেশি সক্রিয় ট্যাঙ্ক থাকতে পারে। কোনো কোনো হ্যাচারিতে ১০৫ টন ওজনের ট্যাঙ্কও আছে।

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী) আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের চিংড়ি হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আশেক উল্লাহ রফিক আজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হ্যাচারিগুলোর যে পানি সমুদ্রে ফেলা হচ্ছে, তাতে কোনো বর্জ্য নেই।'

'তবে, বিভিন্ন মহল থেকে প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়ায় আমরা বর্জ্য শোধনাগার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি এবং ইটিপিতে শোধনের পরে বর্জ্য নিষ্কাশন করার উদ্যোগ নিয়েছি', যোগ করেন তিনি।

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে তাদের অধীনে থাকা সব হোটেল, মোটেল, হ্যাচারি এবং ভবন মালিকদের একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এসটিপি)/ইটিপি স্থাপনের জন্য চিঠি দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটি নির্দেশনা দিয়েছে আজ।

বৈঠকে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে একসঙ্গে কাজ করতে বলেছে।

বন্দর নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সিডিএ চেয়ারম্যান, সিসিসি মেয়র এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে স্থায়ী কমিটির পরবর্তী বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

Comments