বন্যাকবলিত পোড়ার চর

৪০০ মানুষের জন্য তলিয়ে যাওয়া ২ নলকূপ, ২ ভাসমান শৌচাগার

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চর। ২ জুলাই ২০২২। ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

কুড়িগ্রামের বন্যা উপদ্রুত বেশিরভাগ এলাকা থেকে পানি সরে গেছে। কিন্তু, জেলার সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নে ব্রহ্মপুত্রের বুকে জেগে ওঠা দুর্গম 'পোড়ার' চরে এখনো পানিবন্দি দিন কাটাচ্ছে সেখানকার ৮৫ পরিবার। এসব পরিবারের ৪০০-র বেশি মানুষের ভরসা ২টি তলিয়ে থাকা নলকূপ ও ২টি ভাসমান শৌচাগার।

চরের বাসিন্দারা বলছেন, গত ২১ জুন চরটি বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ার পর থেকে ২ নলকূপ পানিতে তলিয়ে আছে। বাধ্য হয়ে তারা ওই নলকূপের পানিই খাওয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করছেন। এই দুর্বিপাকের ভেতরে একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার দেওয়া ২ ভাসমান শৌচাগার চরের বাসিন্দাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।

চরের বাসিন্দা আব্দুর রহমান (৭৩) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বন্যার মধ্যে নৌকা নিয়ে এসে ল্যাট্রিন ব্যবহার করতে বেশ কষ্ট হয়। তারপরেও ল্যাট্রিন (শৌচাগার) ২টা না থাকলে খুব বিপদে পড়তে হতো। কিন্তু, খাওয়া ও রান্নার জন্য পানির অন্য কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তলিয়ে যাওয়া টিউবওয়েল থেকেই পানি নিতে বাধ্য হচ্ছি।'

চরের আরেক বাসিন্দা রাশেদা বেগম ডেইলি স্টারকে জানান, তারা জমে থাকা বন্যার পানিতেই গোসল সারছেন।

ছবি: এস দিলীপ রায়/স্টার

যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রায়হান আলী মণ্ডলের ভাষ্য, বন্যার কারণে পোড়ার চরের বাসিন্দারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। কিছু বসতভিটা থেকে পানি নামলেও অনেক জায়গা এখনো পানির নিচে। বন্যার ভেতর ভাসমান শৌচাগারগুলো তাদের খুব কাজে এসেছে।

এই জনপ্রতিনিধি বলেন, 'বন্যার পানি নেমে গেলে এই চরে আরও কয়েকটি নলকূপ বসানোর ব্যবস্থা করা হবে।'

পোড়ার চর ফ্রেন্ডশিপ স্কুলের শিক্ষক রেজাউল করিম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই চরে বন্যার পানি ঢুকে পড়লে বানভাসিরা নৌকায় বসবাস করেন। তারা শৌচাগারের সঙ্কটে পড়লে বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ বাংলাদেশ'র পক্ষ থেকে ২টি ভাসমান শৌচাগারের ব্যবস্থা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

JnU students continue blockade for 2nd day

Jagannath Oikyo has declared the university indefinitely closed

11m ago