অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ

কুড়িগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতা কারাগারে

নারীকে অপহরণচেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার মে‌হেদী হাসান। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুরে এক গৃহবধূকে শ্লীলতাহানি ও অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় নেতৃবৃন্দ প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

গ্রেপ্তার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র নেতা হলেন মে‌হেদী হাসান (২২)। তিনি চর রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের মরিচাকান্দী এলাকার শাহিদা বেগম ও মিস্টার আলমের ছেলে। তার মা শা‌হিদা বেগম রাজিবপুর সদর ইউনিয়‌নের সংর‌ক্ষিত নারী ইউপি সদস্য।

ঈদের দিন সোমবার রাত ৯টায় রাজিবপুর সদর ইউনিয়নের মরিচাকান্দি এলাকায় একটি ব্রিজের ওপর থেকে তাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাজিবপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুজ্জামান আতিক।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী একজন সরকারি কর্মকর্তা। ঈদের দিন রাত ৯টায় তিনি তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে অটোরিকশায় রৌমারীতে তার বাড়িতে ফিরছিলেন। মরিচাকান্দি গ্রামে একটি ব্রিজের ওপর আসলে তাদের পথ আটকে দেন মেহেদী হাসান ও তার লোকজন। এসময় তারা ওই নারীকে শ্লীলতাহানি ও অপহরণের চেষ্টা করেন। তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে মেহেদী ও তার লোকজন পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় ওই নারীর বাবা চারজনের নাম উল্লেখ করে সোমবার রাতে রাজিবপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই রাতেই পুলিশ প্রধান আসামি মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে।

গৃহবধূর স্বামী জানান, 'আমাদের সাথে মেহেদী ও তার লোকজনের ধস্তাধস্তি হয়। স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে না এলে তারা আমাকে মারধর করে আমার স্ত্রীকে অপহরণ করতেন।'

বৈষম্যবি‌রোধী ছাত্র আন্দোলন কু‌ড়িগ্রাম জেলা শাখার সংগঠক র‌বিউল ইসলাম র‌বিন বলেন, 'মে‌হেদী হাসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা। তি‌নি ঠিক কাজ ক‌রেন‌নি। ত‌বে যে অভি‌যোগে মামলা করা হ‌য়ে‌ছে তা স‌ঠিক নয়। ছোট বিষয়কে বড় ক‌রে দেখা‌নোর চেষ্টা করা হয়েছে। অপহরণ চেষ্টা কিংবা শ্লীলতাহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি। শুধু কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পু‌লিশ তদন্ত ছাড়াই মামলা রেকর্ড ক‌রে মে‌হেদী‌কে গ্রেপ্তার ক‌রে‌ছে।'

পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুজ্জামান জানান, শ্লীলতাহানি ও অপহরণ চেষ্টার অভি‌যো‌গে মামলা হ‌য়ে‌ছে। মেহেদীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

Comments

The Daily Star  | English
Election in Bangladesh

Why are we trying to make the election uncertain?

Those who are working to prevent the election should question themselves as to how the people will be empowered without one.

9h ago