দাবানলে পুড়ছে ইউরোপ

ইউরোপের দেশ ফ্রান্স, স্পেন এবং পর্তুগালে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ দাবানল। ফলে, হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের কর্মকর্তারা, স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছেন। শুক্রবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
পর্তুগালের লেইরিয়া বনের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে একটি জল-বিমান। ১৪ জুলাই, ২০২২। ছবি: রয়টার্স

ইউরোপের দেশ ফ্রান্স, স্পেন এবং পর্তুগালে ছড়িয়ে পড়েছে ভয়াবহ দাবানল। ফলে, হাজার হাজার মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইউরোপের কর্মকর্তারা, স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছেন। শুক্রবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, মঙ্গলবার থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম ফ্রান্সে এক হাজারের বেশি অগ্নিনির্বাপক কর্মী জল-বিমান দিয়ে দুটি দাবানল নিয়ন্ত্রণে লড়াই করছেন।

পর্তুগালে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও দেশটির অনেক স্থানের তাপমাত্রা এখনো ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (১০৪ ফারেনহাইট) বেশি থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশটির ৫টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং এক হাজারের বেশি অগ্নিনির্বাপক কর্মী ১৭টি দাবানল মোকাবিলায় কাজ করছেন।

স্পেনের পরিবেশ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সারাদেশে ১৭টি দাবানল মোকাবিলায় সহায়তা করছে।

এদিকে, ৭০ বছরের বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরার কারণে ইতালিতে তীব্র দাবদাহ দেখা দিয়েছে। ইতালি পো নদী বরাবর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এই নদীটি দেশের কৃষি উৎপাদনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ অবদান রাখে। আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

করোনা মহামারির কারণে ইতোমধ্যে মানুষের স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর যে প্রভাব পড়েছে তা নিয়ে কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থা আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, দাবদাহের ফলে বাতাসের গুণগত মানের আরও অবনতি হয়েছে। বিশেষ করে শহর অঞ্চলে।

গত ৭ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত পর্তুগালে দাবদাহে ২৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। ন্যাশনাল এপিডেমিওলজি সেন্টারের ডাটাবেস অনুযায়ী, স্পেনে তাপপ্রবাহের প্রথম ৩ দিনে চরম তাপমাত্রার কারণে ৮৪টি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে।

Comments