২ দশকের মধ্যে ইউরোর সর্বোচ্চ দর পতন

ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুদ্রা ইউরো। প্রতিকী ছবি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুদ্রা ইউরো। প্রতিকী ছবি: রয়টার্স

২০ বছরের মধ্যে ডলারের বিপরীতে ইউরোর দর পতন সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তীব্র জ্বালানী সঙ্কটের সঙ্গে ইউরোর অবিশ্বাস্য দরপতন ইউরোপের অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর বড় আকারের প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দিয়েছে।

আজ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন এ তথ্য জানা গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার ইউরোর বিনিময় মূল্য দাঁড়ায় ১ দশমিক ০১৮৪৫ ডলার। বুধবার এটি ১ দশমিক ০১৬১৫ এ নেমেছিল। সর্বশেষ ইউরোর দর পতন এ পর্যায়ে যায় ২০০২ সালে।

ইউরোর দর পতনে ডলার সূচক অভাবনীয় হারে বেড়েছে। ৬টি মুদ্রার বিপরীতে ডলারের বিনিময় মূল্য বিবেচনায় এই সূচক নির্ধারণ করা হয়। এ ক্ষেত্রে ইউরোর পাশাপাশি জাপানের ইয়েন, যুক্তরাজ্যের পাউন্ড স্টার্লিং, কানাডার ডলার, সুইডিশ ক্রোনা ও সুইস ফ্রাঁকে বিবেচনায় নেওয়া হয়। এই সূচক ২০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০৭ দশমিক ২৭ এ পৌঁছায়। দিন শেষে এটি ১০৭ দশমিক ০৩ এ এসে স্থিতিশীল হয়েছে।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ জানান, রাশিয়ার জ্বালানীর ওপর নির্ভরতা কমানোর জন্য দেশটিকে দ্রুত টেকসই জ্বালানীর দিকে আগাতে হবে। শুলজ মত প্রকাশ করেন, ইউক্রেনের যুদ্ধে ফায়দা পেতে রাশিয়া জ্বালানীকে রাজনৈতিক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে।

এমন এক সময় ইউরোপের অর্থনীতিতে দুর্যোগ নেমে এসেছে যখন ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১১ সালের পর প্রথমবারের মত ঋণের খরচ (ঋণদাতাকে প্রদেয় সুদের হার) বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে।

এ পরিস্থিতিতে, ডলারের বিপরীতে ইয়েনের মূল্য গত মাসের শেষের দিকে ২৪ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছিল। প্রতি ডলারের বিপরীতে ১৩৭ ইয়েন পাওয়া যাচ্ছিল সে সময়। তবে গতকাল এই হার কমে ১৩৫ দশমিক ৭৯ ইয়েনে পৌঁছেছে।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মন্ত্রীসভা ও ক্ষমতাসীন রক্ষণশীল দলে বিদ্রোহ দেখা দেওয়ায় এক রাতের মাঝেই পাউন্ড স্টার্লিংয়ের দাম গত ২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে।

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে 'পদত্যাগ কান্ডের' পর পাউন্ডের দাম ২০২০ সালের পর সর্বনিম্ন ১ দশমিক ১৮৭৭ ডলারে নেমে যায়। তবে এক রাতের মধ্যে এটি কিছুটা বেড়ে ১ দশমিক ১৯২৪ ডলারে উন্নীত হয়।

Comments

The Daily Star  | English
ADP implementation failure in Bangladesh health sector

Dev budget expenditure: Health ministry puts up poor show again

This marks yet another year of weak budget execution since the health ministry was split into two divisions in 2017.

10h ago