হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন কথার জাদুকর: জুয়েল আইচ

নন্দিত কথাশিল্পী, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের কাছের মানুষ ছিলেন জুয়েল আইচ। দু’জনের আছে অসংখ্য স্মৃতি। হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণ দিবসে সেসব নিয়ে কথা বলেছেন জুয়েল আইচ।
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে জুয়েল আইচ। ছবি: সংগৃহীত

নন্দিত কথাশিল্পী, নাট্যকার ও চলচ্চিত্রকার হুমায়ূন আহমেদের কাছের মানুষ ছিলেন জুয়েল আইচ। দু'জনের আছে অসংখ্য স্মৃতি। হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণ দিবসে সেসব নিয়ে কথা বলেছেন জুয়েল আইচ।

জুয়েল আইচ বলেন, হুমায়ূন আহমেদের লেখা থেকে প্রিয় বই বাছাই করা খুব কঠিন কাজ। কারণ, তার সব বই আমার প্রিয়। প্রথমেই বলতে হচ্ছে জোছনা ও জননীর গল্প উপন্যাসটির কথা। এটি মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেখা একটি বড় ক্যানভাসের উপন্যাস।

এভাবে, এত বড় পরিসরে কোনো লেখক মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস লিখেছেন কী না জানি না। এটা খুব কষ্টের একটি গল্প এবং জোছনা ও জননীর গল্প আমার সবচেয়ে প্রিয় বই।

হুমায়ূন আহমেদ সবসময় সহজ সরল ভাষায় লিখতেন। তার বই পড়ে কষ্টের মাঝেও হাসতে পারতাম। এই কাজটি সব লেখক পারেন না। তিনি পারতেন এবং খুব ভালোভাবেই পারতেন।

বাদশা নামদার আরও একটি প্রিয় বই। এটা যে কী রকম ভালো লেগেছিল তা বলে শেষ করা যাবে না। বাদশা নামদার ২ বার পড়েছিলাম। গল্পের জাদুকর বুঝি একেই বলে। এই বই পড়তে পড়তে মোগলদের নানা ঘটনা চোখের সামনে জীবন্ত হয়ে উঠেছিল।

শুরুর দিকে তার লেখা ৩টি বই আমাকে ছুঁয়ে যায় বই ৩টি হলো নন্দিত নরকে, শঙ্খনীল কারাগার এবং তোমাদের জন্য ভালোবাসা। হুমায়ূন আহমেদের বই একবার হাতে নেওয়ার পর তা শেষ না করে উপায় ছিল না। এভাবেই তার লেখা আমাকে এবং লাখো পাঠককে ছুঁয়ে গেছে।

হিমু ও মিসির আলি চরিত্র দুটি অন্য সবার মতো আমারও খুব প্রিয়। হিমু ভিন্ন ধরনের চরিত্র, অথচ অবিশ্বাস্য সব কথা বলে সবাইকে চমকে দিতেন? কৌতুক করতে পছন্দ করতেন হিমু।

পাঠকের কাছে হুমায়ূন আহমেদের লেখার আবেদন কখনো ফুরাবে না। কেননা, মানুষের যাপিত জীবনের কথা সরলভাবে তুলে ধরেছেন তিনি। হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন কথার জাদুকর। তার এই জাদু কোনোদিন শেষ হবে না।

Comments