অগ্রন্থিত সাক্ষাৎকার

কবি লেখকেরা প্রশাসক হলে শিল্প-সাহিত্য নষ্ট হয়ে যায় : সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়

[সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জাদুকরি সৃজনে সমৃদ্ধ হয়েছে বাংলাসাহিত্য। তার উল্লেখযোগ্য বই অর্ধেক জীবন, অরণ্যের দিনরাত্রি, অর্জুন, প্রথম আলো, সেই সময়, পূর্ব পশ্চিম, মনের মানুষ ইত্যাদি। "কাকাবাবু-সন্তু" নামে এক জনপ্রিয় গোয়েন্দা সিরিজের রচয়িতা। মৃত্যুর পূর্বপর্যন্ত তিনি ভারতের জাতীয় সাহিত্য প্রতিষ্ঠান সাহিত্য অকাদেমি ও পশ্চিমবঙ্গ শিশুকিশোর আকাদেমির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২৩ অক্টোবর, ১২তম প্রয়াণ দিবস। অগ্রন্থিত সাক্ষাৎকারটি ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে নেওয়া] 

কাজল রশীদ শাহীন: লেখালেখি ছাড়া কীভাবে কাটে আপনার দিন?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় : সমাজসেবামূলক কাজের চেষ্টা করি। আমাদের একটি প্রতিষ্ঠান আছে 'পথের পাঁচালী সেবা সমিতি'। বন্ধা বলে একটি সীমান্ত জায়গায় অল্প বয়সী ছেলেমেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। বিশেষ করে মেয়েদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। সঙ্গে আমি ও আমার স্ত্রী জড়িত।

তাহলে ওটা আপনাদের সংগঠন?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় : হ্যাঁ। তবে সংগঠনে আমরা কোনো বাইরের সাহায্য নিই না। সাহায্য নিলে অবিশ্বাসের জায়গাটা প্রবল হয়ে ওঠে। অনেকে তখন মনে করে, প্রচুর অর্থকড়ি বাইরে থেকে নেওয়া হচ্ছে কিন্তু সহায়-সম্বলহীনদের মাঝে তার তুলনায় কিছুই দেওয়া হচ্ছে না। অবশ্য 'পথের পাঁচালী সেবা সমিতি' এনজিও ব্যুরোর রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত। সংগঠনটি চলে বন্ধু-বান্ধবদের সাহায্যে।

কলকাতার শেরিফ হিসেবে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা কেমন?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: শেরিফ হচ্ছে সম্মানসূচক একটি পদ। এই দায়িত্ব আমাকে দেওয়াতে অবশ্য খুব হাসি পেয়েছিল। কারণ, আমি তো পূর্ববঙ্গ অর্থাৎ এপার বাংলা থেকে গিয়েছি। সেই হিসেবে আমি রিফিউজি। একজন রিফিউজি হলো, কলকাতার শেরিফ। এটা কখনো হয়! আমার মনে হয়েছিল, ভুল করে ফেলেছে বুঝি।

সম্মানসূচক পদ হলেও আপনার বেশকিছু দায়িত্ব ছিল। সে সম্পর্কে বলুন।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: দায়িত্বগুলো প্রধানত ছিল সভা-সমিতিতে যাওয়া। 'ঢাল নেই, তলোয়ার নেই, নিধিরাম সর্দার' হলে যেমন হয়, আমার হয়েছিল সেই দশা।

শুনেছি ভারতের লোকসভার সদস্য হিসেবে মনোনীত হতে যাচ্ছেন
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: এটা তো একটা গুজব।

শুধুই গুজব ?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: আমি যেহেতু লিখিতভাবে কিছুই পাইনি, সেহেতু গুজব ছাড়া অন্যকিছু বলতেও পারব না। ওইভাবে অবশ্য মনোনীত করা হয় শিল্পী-সাহিত্যিকদের মধ্যে থেকে। কিছুদিন আগে মৃণাল সেনকে মনোনীত করা হয়েছিল। এখন ওনার সময়টা শেষ হয়ে এসেছে। এরপরে কে হবে জানা যায়নি।

যদি দেওয়া হয়, তাহলে আপনি সেই দায়িত্ব নেবেন?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: হ্যাঁ, দায়িত্বটা নেব। কেননা ওখানে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ওটা হলে প্রতিবছর দুই কোটি টাকা খরচ করতে পারব ইচ্ছেমতো। ওই টাকায় গ্রামের অনেক কাজ করতে পারব। 'পথের পাঁচালী সেবা সমিতি' যেখানে কাজ করে ওখানে রাস্তা নেই, পানীয় জল নেই, বিদ্যুৎ নেই, সেখানে আমি যতটুকু পারি সাহায্য করতে পারব।

সেক্ষেত্রে কি কোনো পলিটিক্যাল বাইন্ডিংসের ভেতর যেতে হবে?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: না। যেহেতু এগুলো মনোনীত পদ সেহেতু এখানে কোনো ধরনের সীমাবদ্ধতা নেই। এরা কোনো রাজনৈতিক দলের নয় তো, এরা যে-কোনো জায়গায় টাকাটা খরচ করতে পারে। যারা নির্বাচিত তারা শুধু নিজের এলাকাতে কাজ করতে পারে।

শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির মানুষদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার ব্যাপারে অভিমত কি?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: কবি-লেখকেরা রাজনীতি বা প্রশাসনিক পদে যুক্ত হলে শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষতি হয়ে যায়। তাই আমি মনে করি, প্রশাসন বা রাজনীতিতে কবি-লেখকদের যোগ দেওয়া উচিত নয়। এতে তার মূল কাজ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আর দলীয় রাজনীতি শিল্পীর ভেতরের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়।

এটা কি এই উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে বলছেন?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: শুধু উপমহাদেশ কেন, পৃথিবীর সর্বত্র—রাজনীতি মানে দলীয় রাজনীতি। দলের সিদ্ধান্তে অনেক সময় আদর্শিক জায়গার তুলনায় বেশি থাকে ক্ষমতা দখলের কৌশল। সেখানে প্রচুর মিথ্যা কথা বলতে হয়। সৃজনশীল মানুষদের এসবের মধ্যে না যাওয়াটাই ভালো।

'জোছনা ও জননীর গল্প' হুমায়ূন আহমেদের মুক্তিযুদ্ধের এই উপন্যাসের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ঢাকায় সফর। বইটি সম্পর্কে অভিমত?

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: হুমায়ূনের 'নন্দিত নরকে' থেকেই আমি তাঁর লেখার নিয়মিত না হলেও একজন নিবেদিত প্রাণ পাঠক। তাঁর 'জোছনা ও জননীর গল্পে'র অর্ধেকের মতো পড়েছি। বাকিটা পড়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। হুমায়ূনের ভাষায় একটা টান আছে, আরম্ভ করলে ছাড়া যায় না। এই পর্যন্ত মনে হয়েছে যে, হুমায়ূন আহমেদ একটা বড় কাজ করেছেন। তার লেখার বড় সার্থকতা হলো, লেখার প্রসাদগুণ অসাধারণ। সবাই পড়ে। ধরলে ছাড়া যায় না এবং তরুণ-তরুণীরাও এটা পড়বে বলে আশা করছি। ফলে মুক্তিযুদ্ধের সুন্দর ইতিহাস এবং ছবি পাবে; যেটা এখন অনেকে ভুলে গেছে কিংবা অনেক কিছু ভুল জানে। সেগুলো একজন বিশিষ্ট লেখকের কলমে নতুন করে জানা যাবে।

ইতিহাসভিত্তিক উপন্যাসে ইতিহাসের নির্যাস যখন একজন ঔপন্যাসিকের কলমে আসে তখন ইতিহাসের সারাৎসার খণ্ডিত হয়?

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: রবীন্দ্রনাথ অনেক আগেই বলেছেন—'সেই সত্য যা রচিবে তুমি, ঘটে যা তা সব সত্য নহে। /কবি, তব মনোভূমি, রামের জন্মস্থান, অযোধ্যার চেয়ে সত্য জেনো।' হুমায়ূন আহমেদের 'জোছনা ও জননীর গল্প'র প্রসঙ্গে বলতে হয়, এতে কাহিনির জোর অত্যন্ত বেশি। ইতিহাসের পটভূমিকাটাকে কেন্দ্র করে কাহিনির জোর দিয়ে লিখেছে। আমার তো মনে হয়, এ কারণে বইটি অনেক বেশি আকর্ষণীয় হবে।

'পূর্ব-পশ্চিম', 'সেই সময়', 'প্রথম আলো'র মতো উপন্যাসগুলো ইতিহাসের প্রেক্ষাপটকে ঘিরে আবর্তিত। এখানে দেখা যাচ্ছে ইতিহাসবেত্তা না হয়ে ঔপন্যাসিক ইতিহাসের পুনরাবর্তন ঘটিয়েছেন। এ ব্যাপারে কি বলবেন?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: আমি ইতিহাস ভালোবাসি। ইতিহাস পুনর্নির্মাণ করতে আমার সব সময়ই ইচ্ছে করে, আর একারণেই কাজটি করে থাকি। আমি সত্যি সত্যি ইতিহাসবিদ তো নই, আমি হলাম শখের ঐতিহাসিক। ইতিহাসের নানারকম বই পড়াশুনা করে সেই সময়টাকে তুলে ধরার চেষ্টা করি।

আপনি অর্ধেক জীবন যেমন পেরিয়ে এসেছেন, অন্যদিকে 'অর্ধেক জীবন' গ্রন্থাকারেও বেরিয়েছে। একজন সব্যসাচী লেখক হিসেবে আপনি সমধিক পরিচিত। কবিতা ও উপন্যাসে আপনি সমানভাবে সিদ্ধহস্ত...।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: এমন তো হতে পারে, আদতে আমি কোনোটাতেই ভালো নই। হা... হা... হা...।

আপনি পূর্বের সময়বিচারে এই সময়ে উপন্যাসের মতো কবিতার প্রতি নিবেদিত নন বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এর কি কারণ রয়েছে?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: কবিতা লিখে যাচ্ছি। আমার মনে হয় যে, কবিতা না লিখে আমার পক্ষে থাকাও সম্ভব নয়। গদ্য একটু বেশি সময় নিয়ে লিখতে হয়, কবিতার চেয়ে গদ্যের জন্য অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। কবিতা না লিখে বেঁচে থাকাও সম্ভব নয়। বেরোচ্ছে আমার কবিতার বইও তো নিয়মিত।

নীরার রহস্য কি কখনো উন্মোচিত হবে? নীরার বয়স এখন কত?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: তোমার শেষ প্রশ্নের উত্তরটা আগে দিই। নীরার বয়স জানতে চাচ্ছ তো, নীরার এখনকার বয়স হলো—হা... হা.. হা...। তুমি বড্ড চালাক, তোমাকে বলি, তুমি কি জানো না, মেয়েদের বয়স জানতে নেই ? আর নীরার রহস্যের কথা বলছ, একজীবনে এই রহস্যটা না হয় নাই-বা উন্মোচিত হলো।

আপনার অটোবায়োগ্রাফিতেও রহস্য উন্মোচিত হবে ?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় : না, অটোবায়োগ্রাফিতেও না। নীরার কথা নীরার কবিতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। গদ্যে কিংবা মুখের কথায় ওটা প্রকাশ করা যাবে না। কবিতা দিয়ে যতটুকু বোঝা যায়, ততটুকুই হবে।

বর্তমানে কী ধরনের লেখার কথা ভাবছেন?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: সাম্প্রতিক কালের ইতিহাস নিয়ে একটা লেখার পরিকল্পনা অনেকদিন ধরে মাথায় রয়েছে।

বিস্তারিত বলবেন?

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: এটাও একটি ইতিহাস আশ্রিত লেখা। ১৯৭০ সাল থেকে কাহিনি শুরু হবে।

১৯৭০ সালকে চিহ্নিত করলেন কেন?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জন্ম হলো। ওটা একটা নতুন অধ্যায় আমাদের দেশের বা এই উপমহাদেশের ইতিহাসে। তো সেখান থেকেই তার পরবর্তীকালের কথা শুরু করব মনে করছি। পশ্চিম বাংলায় এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া কী সেটাও উঠে আসবে। এইসব মিলিয়ে লেখার ভাবনাটা কেবল তৈরি হয়েছে। এখন পড়াশুনা করতে হবে। তাই একটু সময় লাগবে।

ইতিহাস যখন ঔপন্যাসিকের কলমে আসে তখন ইতিহাসের প্রকৃত নির্যাস থাকে?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: আমার মনে হয় ইতিহাসের তথ্য বিকৃতি করা কোনোভাবেই উচিত না। কিন্তু তার সঙ্গে তো কল্পনা মেশাতে হয়। তা না হলে উপন্যাস হয় না। সেটা তো তাহলে প্রবন্ধের বই হয়ে যায়। ইতিহাসের সঙ্গে কল্পনা মেশাতে হয়, বিভিন্ন চরিত্র আনতে হয়, যেগুলো কাল্পনিক চরিত্র। বাস্তবের কাছাকাছি কিন্তু কাল্পনিক চরিত্র। সংলাপ আনতে হয়, উপন্যাস সংলাপ ছাড়া হয় না। ইতিহাসে সংলাপ থাকে না। উপন্যাস আর ইতিহাসের মূল তফাতটা এখানে।

লেখালেখিতে আপনার কোনো রুটিনমাফিক সময় আছে কি?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: আমি সাধারণত সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বসি এবং এই সময়ের মধ্যে লেখার চেষ্টা করি। সন্ধ্যা কিংবা রাত্রিবেলায় আমি সাধারণত লিখি না। খুব চাপ থাকলে হয়তো কখনো কখনো লিখতে হয়। বাকি সময়টা আমি পড়াশুনা করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

'ছবির দেশে কবিতার দেশে'র মতো ভ্রমণকাহিনিমূলক লেখাতে আপনি রহস্যের ভেতর দিয়ে চরিত্রগুলোকে এগিয়ে নেন। এই রহস্য উন্মোচন করতে গিয়ে থেমে যান। বলা যায় ব্রেক কষে দেন। এটা কেন ?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় : পাঠকের মধ্যে একটা তৃষ্ণা জাগিয়ে রাখার জন্য এটা করতে হয়। তৃষ্ণা জাগিয়ে রাখা তো ভালো। বাকিটা পাঠক নিজের মতো করে কল্পনা করে নেবেন। সব কখনোই বলে দিতে নেই।

এ ধরনের ভ্রমণ কাহিনি লেখার নতুন কোনো প্রেক্ষাপট নিয়ে ভাবছেন?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: লিখব তো, আমার যা মাথায় আসে তাই নিয়ে লিখব। লিখেছি 'বিজনে নিজের সঙ্গে' বলে একটি বই। আমি দক্ষিণ আমেরিকায় গিয়েছিলাম, সেখানে কলম্বিয়া বলে একটা জায়গা আছে, তার অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখেছি। চীনে গিয়েছি, চীন সম্পর্কে এখনো লেখা হয় নি। হয়তো কোনো একসময় লিখব।

সেটা কি উপন্যাসের ফর্মেই হবে?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: উপন্যাসই যে হবে তা নিশ্চিত করে এখন বলা সম্ভব নয়। ভ্রমণকাহিনিও হতে পারে।দীর্ঘ জীবন পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরে নিজের জন্মভিটায় গিয়েছিলেন আপনি। সেই অভিজ্ঞতা বলুন।
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: সেখানে মানুষজনের ব্যবহার অনেক ভালো লেগেছে। আমাকে একপ্রকার জোর করে ধরে নিয়ে গেছে। সকলেই খুব আন্তরিক। জায়গাটা মুখ্য নয়, মানুষগুলো ভালো লেগেছে।

বসতভিটার জমিটা নাকি ফেরত দেওয়া হবে?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: সেটা নিয়ে আমার আগ্রহ নেই। দু-একজন পাগলামি করছে। সেটা তাদের ব্যাপার।

হুমায়ূন আহমেদ পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে আপনার নাগরিকত্বের জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়: ওটা লিখেই হুমায়ূন আমাকে সম্মানিত করেছে। এখন হোক বা না হোক সেটাতে কিছুই আসে যায় না। ও যে লিখেছে, বলছ, তাতেই সম্মানিত বোধ করছি।

Comments

The Daily Star  | English

US election: What is at stake for Bangladesh’s export

As millions of Americans head to the polls on November 5 to vote for either Democratic Vice President Kamala Harris or her Republican rival Donald Trump, apparel business communities in Bangladesh, more than 13,119 kilometres away from Washington, will be watching the results of the presidential election closely.

12h ago