বাবার বিতর্ক নিয়ে গণমাধ্যমকে যা বললেন জোকোভিচ

নোভাক জোকোভিচ, অস্ট্রেলিয়া ওপেন,
সেমি ফাইনালে জয়ের পর নোভাক জোকোভিচ। ২৭ জানুয়ারি, ২০২৩। ছবি: রয়টার্স

সেমিফাইনালে জয়ের পর অস্ট্রেলিয়া ওপেনের দশম মুকুটের জয়ের হাতছানি টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচের সামনে। তিনি অস্ট্রেলিয়া ওপেনের ৯ বারের চ্যাম্পিয়ন। কিন্তু, ভিসা জটিলতার কারণে গত বছর এই টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারেননি জোকোভিচ।

এবারের আসরে সেমিফাইনালে জয়ের পরই জোকোভিচ এতদিনের নীরবতা ভেঙে বাবার বিতর্ক নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন।

নোভাক জোকোভিচ বলেন, তার বাবা যখন রুশপন্থী ভক্তদের সাথে 'পোজ' দিয়েছিলেন তখন যুদ্ধকে সমর্থন করার কোনো ইচ্ছা তার ছিল না। কিন্তু, এ নিয়ে 'ভুল ব্যাখ্যা' এই পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করেছে। তার পরিবার কখনোই যুদ্ধকে সমর্থন করবে না। পুরো ঘটনা নিয়ে তিনি দুঃখিত।

নোভাক জোকোভিচ বলেন, তার বাবা যখন রুশপন্থী ভক্তদের সাথে 'পোজ' দিয়েছিলেন তখন যুদ্ধকে সমর্থন করার কোনো ইচ্ছা তার ছিল না। কিন্তু, এ নিয়ে 'ভুল ব্যাখ্যা' এই পরিস্থিতিকে আরও অস্থিতিশীল করেছে। তার পরিবার কখনোই যুদ্ধকে সমর্থন করবে না। পুরো ঘটনা নিয়ে তিনি দুঃখিত।

তবে, তিনি স্বীকার করেছেন এই বিতর্ক অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের তার খেলায় প্রভাব ফেলেছে।

এর আগে, গত বুধবার রাতে ভ্লাদিমির পুতিনের ভক্তদের সঙ্গে জোকোভিচের বাবার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এরপর জোকেভিচের বাবা ছেলের সেমিফাইনাল ঘরে বসে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কোয়ার্টার ফাইনালে আন্দ্রে রুবেলেভের বিপক্ষে জোকোভিচের জয়ের পর গ্র্যান্ড স্ল্যাম কমপ্লেক্সের বাইরে সিঁড়িতে জড়ো হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট পুতিনের মুখসহ রাশিয়ার পতাকাধারী একটি দল। তাদের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন জোকোভিচের বাবা। তিনি সার্বিয়ান ভাষায় বলেছিলেন, চিয়ার্স। এরপরই গোটা অস্ট্রেলিয়া জুড়ে শুরু হয় নিন্দা ও ক্ষোভ।

ইউক্রেনে আগ্রাসনের কারণে রাশিয়ান পতাকা, রাশিয়ান ঈগল ব্যানার, বেলারুশিয়ান পতাকা এবং জেড চিহ্নসহ পোশাকের আইটেমগুলো মেলবোর্ন পার্কে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

জোকোভিচ বলেন, 'আমার বাবা, আমার পুরো পরিবার এবং আমি ৯০ দশকে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ দেখেছি। আমার বাবা একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, আমরা যুদ্ধের বিরুদ্ধে। আমরা কখনোই কোনো সহিংসতা বা কোনো যুদ্ধকে সমর্থন করব না। আমরা জানি যুদ্ধের যেকোনো দেশের মানুষের জন্য, পরিবারের জন্য তা কতটা ধ্বংসাত্মক।'

ওই দিনের ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে জোকোভিচ জানান, তার বাবা যখন সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন চারপাশে প্রচুর সার্বিয়ান পতাকা ছিল। তিনি এগিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি ভেবেছিলেন, সার্বিয়ার কারও সঙ্গে ছবি তুলছেন। কোনো ধরণের যুদ্ধের উদ্যোগ বা এই জাতীয় কিছুকে সমর্থন করার কোনো উদ্দেশ্য তার বাবার ছিল না।

তিনি আরও বলেন, আমি বাবার ওপর রাগ করতে পারি না বা বিরক্ত হতে পারি না। কারণ আমি জানি, এতে তার কোনো দোষ ছিল না। তিনি আমার ভক্তদের সঙ্গে জয় উদযাপন করতে বেরিয়েছিলেন। আমি ফাইনালে বাবাকে গ্যালারিতে দেখতে চাই।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English
fazlur rahman safety concern

‘As a freedom fighter, I have the right to live in peace’

Fazlur Rahman voices concern for his and family’s safety as protesters besiege his Dhaka home

1h ago