তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের ‘মানবিক ভিসা’ দেবে অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ায় মানবিক ভিসা
তুরস্কের হাতায় জেলায় ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত সরকারি হাসপাতালের ধ্বংসস্তূপ থেকে জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টা। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল সরকার তুরস্ক ও সিরিয়ার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকা থেকে অস্ট্রেলিয়ায় আসতে আগ্রহীদের 'মানবিক ভিসা' প্রক্রিয়া দ্রুত করার উদ্যোগ নিচ্ছে ক্যানবেরা।

ভূমিকম্পে এই ২ দেশে কয়েক লাখ মানুষ গৃহহীন হয়েছে। তাদের মানবিক সহায়তার প্রয়োজন।

প্রতি বছর অস্ট্রেলিয়ার ইমিগ্রেশন বিদেশিদের ৩৫ হাজার স্থায়ী ভিসা দিয়ে থাকে।

গত বছরের সেপ্টেম্বরে তা বাড়িয়ে ১ লাখ ৯৫ হাজার করা হয়েছে।

এই ভিসার একটি অংশকে 'মানবিক ভিসা' হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর আওতায় ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা আবেদন করতে পারবেন।

তুরস্ক ও সিরিয়া বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ানরা ভূমিকম্পের পর তাদের আত্মীয়দের ভিসার আবেদনগুলোর প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য অস্ট্রেলিয়া সরকারের কাছে অনুরোধ করেছিল।

অস্ট্রেলিয়ার এক বিভাগীয় মুখপাত্র গণমাধ্যমকে বলেছেন, 'প্রক্রিয়ার সময় ভিসার ধরন ও আবেদনকারীর পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। সহানুভূতিশীল ও বাধ্যতামূলক পরিস্থিতিতে ভিসার আবেদনগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।'

সরকার ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার ক্ষতিগ্রস্তদের ভিসা আবেদন দ্রুত করার কথা বিবেচনা করছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষ যারা ইতোমধ্যেই অস্ট্রেলিয়ায় আছেন এবং দেশে ফিরতে পারছেন না তারাও তাদের থাকার অস্থায়ী ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবেদনের সুযোগ পাবেন।

সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, সব ভিসা আবেদনকারীকে অবশ্যই অভিবাসন আইনের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে। এর মধ্যে "কঠোর নিরাপত্তা পরীক্ষা" অন্তর্ভুক্ত আছে।'

সংঘাতের কারণে সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ত্রাণ প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ অঞ্চলের অনেকে এখনো মানবিক সহায়তা থেকে বঞ্চিত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে যে, সেই এলাকার মানুষের কল্যাণে বাধা পাওয়ায় তারা খুবই উদ্বিগ্ন। সেখানে ভূমিকম্পের আগে প্রায় ৪০ লাখ মানুষ মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।

ভূমিকম্পের পরপরই যখন জাতিসংঘের ব্যবহৃত একটি পথ সাময়িকভাবে অবরুদ্ধ করা হলে দেশটিতে ত্রাণ বিতরণ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়।

সিরিয়ার নাগরিকদের ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার এক সরকারি মুখপাত্র বলেছেন যে, মানবিক ভিসার উদ্যোগ 'কেস বাই কেস ভিত্তিতে' নেওয়া হবে।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী লেখক ও সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

Expatriates' remittance helps Bangladesh make turnaround: Yunus

It is the expatriates who help sustain the country, says the chief adviser

2h ago