ইতালিতে বাংলা স্কুলের মাতৃভাষা দিবস উদযাপন

ইতালিতে বাংলা স্কুলের মাতৃভাষা দিবস উদযাপন
বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা মেসত্রের প্রাণকেন্দ্রে এম নাইন হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ছবি: সংগৃহীত

অভিবাসী শিশু-কিশোর, অভিভাবক এবং বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যদের অংশগ্রহণে আয়োজন করা হয় অমর একুশে উদযাপন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার ইতালির ভেনিসে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকা মেসত্রের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এম নাইন হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা ৬টায়। একুশের গান, দেশের গান, কবিতা, নৃত্য এবং সবশেষে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

বাংলা স্কুলের জমকালো এই একুশ উৎসবে সভাপতিত্ব করেন বাংলা স্কুলের সভাপতি সৈয়দ কামরুল সরোয়ার। প্রধান অতিথি ছিলেন ভেনিসের সাবেক সংসদ সদস্য নিকোলা পেল্লিকানি। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্কুল কমিটির উপদেষ্টা পলাশ রহমান ও নাজমুল আলম খন্দকার রিপন।

'বিশ্ব মাতৃভাষা দিবস মানে পৃথিবীর সব ভাষার প্রতি সম্মান জানানো' শীর্ষক বক্তৃতা করেন স্কুলের সিনিয়র সহসভাপতি এম ডি আকতার উদ্দিন, সহসভাপতি নাসিরুদ্দিন পান্না, সাংগঠনিক সম্পাদক, মুহাম্মাদ সোহেল মিয়া, শাহাদৎ হোসেন, স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর আফাই আলি, শহিদুল ইসলাম সুজন, ফকরুল ইসলাম চৌধুরী, সুমন সরকার, কামরুজ্জামান উজ্জ্বলসহ অনেকে। 

গত ১৮ বছর ধরে পরিচালিত ভেনিস বাংলা স্কুলের সব অনুষ্ঠানে দলমত নির্বিশেষে কমিউনিটির সদস্যরা অংশ নেন। নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করা হয় শেকড়ের সঙ্গে জুড়ে থাকতে। 

অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কাজি আল রোনাক, সহিদুল ইসলাম, রাসেদুল ইসলাম এবং রতন মিয়া।

ভেনিস বাংলা স্কুলের সব অনুষ্ঠান একটু ব্যতিক্রমভাবে সাজানো হয়। প্রতি অনুষ্ঠানেই কিছু না কিছু নতুনত্ব দেওয়া হয়। আর এই নতুনত্ব নতুন ঢঙে তুলে ধরেন উপস্থাপিকা ও স্কুলের সাধারণ সম্পাদক সোহেলা আক্তার বিপ্লবী এবং কণ্ঠশিল্পী মোহাম্মাদ আসিক।

বাংলা স্কুলের শিশু-কিশোরদের বাংলাদেশের পাঠ্যপুস্তকের পাঠদান, দেশের ইতিহাত, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন ৩ জন শিক্ষক- সুরাইয়া আক্তার, দিলরুবা জামান ও মেহেরুন নেছা মলি। 

অনুষ্ঠানে একুশের কবিতা, গান এবং নৃত্য পরিবেশন করেন স্কুলের শিক্ষার্থীরা।

ভেনিস বাংলা স্কুলের অনুষ্ঠান মানেই কচি-কাচাদের আসর। এবারের একুশের অনুষ্ঠানেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অভিবাসী শিশু কিশোর, অভিভাবক এবং কমিউনিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। উপস্থিত সকলে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময়ে দাঁড়িয়ে দেশের প্রতি সম্মান জানান এবং ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Why Dhaka has become unliveable

To survive Dhaka, you need a strategy. Start by embracing the absurd: treat every crisis as a plot twist.

12h ago