মালয়েশিয়ায় আগুনে নিহত ২ বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে

মালয়েশিয়ায় আগুনে নিহত ২ বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে
মোরাদ মোল্লা ও লিটন। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় আগুনে নিহত ২ বাংলাদেশি শ্রমিকের পরিচয় পাওয়া গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ প্রচার হওয়ার পর পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করেছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশন। 

হাইকমিশনের মিনিস্টার লেবার নাজমুছ সাদাত সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের ফুলবাড়ী গ্রামের বোরক আলীর ছেলে লিটন (৩৪) ও পাবনার সুজানগরের পারঘোরাধা গ্রামের মো. কোরবান মোল্লার ছেলে মোরাদ মোল্লা (৩৪)।

এ ছাড়া দগ্ধ ৪ বাংলাদেশি শ্রমিকের পরিচয় এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এখনো আইসিইউতে দগ্ধদের চিকিৎসা চলছে। তবে তাদের যথাযথ চিকিৎসার জন্য পুলিশ ও হাসপাতাল উভয়ের সঙ্গে হাইকমিশন থেকে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান মিনিস্টার লেবার।

শুক্রবার সকালে হাইকমিশনের প্রতিনিধি দল সারডাং হাসপাতালে যাবেন বলে জানিয়েছেন কল্যাণ সহকারী (লেবার) জাহাঙ্গীর আলম।  

বৃহস্পতিবার ভোরে দেশটির সেলাঙ্গর রাজ্যের বান্ডারবারু বাঙ্গীর তামান ইন্ডাস্ট্রি সোলেমানের  জুমু এসডিএন বিএইচডি নামের একটি ছাপাখানায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোর সোয়া ৪টার সময় অগ্নিকাণ্ডের বিষয়ে ফোন পাওয়ার পর ৪টি স্টেশন থেকে ২৩ জন ফায়ার সার্ভিস কর্মী ও ১৩ জন কর্মকর্তা দ্রুত ঘটনাস্থলে যান।

অভিযানে অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, অগ্নিকাণ্ডের সময় ৬ বাংলাদেশি ছাপাখানায় আটকা পড়েন। পরে তাদের মধ্যে ৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হলেও ২ জন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আগুনে দগ্ধদের চিকিৎসা চলছে। নিহত ২ জনের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

জেবিপিএম অ্যাসিস্ট্যান্ট অপারেশন ডিরেক্টর মোহামাদুল এহসান মোহাম্মাদ জেইন বলেছেন, ছাপাখানাটির আকার ৬০ বাই ৮০ বর্গফুট। দমকলকর্মীদের চেষ্টায় ভোর ৪টা ৪৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধোঁয়ার কারণেই ওই ২ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। বিস্তারিত জানতে দুর্ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

 

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

3h ago