অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বের অন্যতম সেরা আতশবাজি উৎসব আজ

এ উৎসবে ১২ লাখের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকবে বলে সিডনি সিটি কাউন্সিল জানিয়েছে। 
আতশবাজি
সিডনির আতশবাজি উৎসব। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের প্রথম প্রহরে বিশ্বের অন্যতম সেরা আতশবাজি উৎসবের আয়োজন করেছে অস্ট্রেলিয়া। 

সিডনির অপেরা হাউজ ও হারবার ব্রিজকে ঘিরে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষ উপভোগ করে এই উৎসব। 

এ বছরের উৎসবে ১২ লাখের বেশি মানুষ উপস্থিত থাকবে বলে সিডনি সিটি কাউন্সিল গণমাধ্যমকে জানিয়েছে। 

আয়োজকরা জানান, এবার গত ২৭ বছরের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রদর্শনী হবে।  

নববর্ষের এই আতশবাজি প্রদর্শনের জন্য ৬০ জন ক্রু, ১৮ কনটেইনার সরঞ্জাম, ৬টি বার্জ এবং ৪টি পন্টুন প্রস্তুত করা হয়েছে। 

শহরের ৫টি উঁচু ভবনের ছাদ এবং আইকনিক ল্যান্ডমার্ক অপেরা হাউজ ও হারবার ব্রিজ থেকে প্রক্ষেপণ করা হবে আতশবাজি। 

এ আয়োজনের ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর ফরচুনাটো ফোটি বলেছেন, আশা করি সবাই বলবেন যে এটি ছিল সেরা এবং প্রত্যেকে একটি দুর্দান্ত সময় পার করেছে।

সপ্তম প্রজন্মের পাইরোটেকনিশিয়ান ফরচুনাটো ফোটির পরিবার ১৭৯৩ সাল থেকে আতশবাজি তৈরি করে আসছে।

আজ ৩১ ডিসেম্বর রাত ৯টায় এবং মধ্যরাতে প্রদর্শিত আতশবাজির প্রধান থিম থাকবে অস্ট্রেলিয়ান আদিবাসী জনগোষ্ঠী। 

চিত্রকর জ্যানেল বার্গারের সঙ্গে 'ফার্স্ট নেশনস সোশ্যাল এন্টারপ্রাইজ উই আর ওয়ারিয়র্স' এর তৈরি একটি প্রজেকশনের মাধ্যমে আদিবাসী সংস্কৃতি ও পরিচয় তুলে ধরা হবে।

উই আর ওয়ারিয়র্সের প্রতিষ্ঠাতা নুকি বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ার যেখানেই যাবেন সেখানেই আদিবাসীদের ভূমি।'

এ বছর উজ্জ্বল সাদা, পিচ, চুন, রূপা, সোনা, বেগুনি, হলুদ, পোড়া কমলা, গোলাপি এবং নীল আতশবাজি থাকবে।

উৎসবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৈরি ভিজ্যুয়াল অ্যানিমেশন সন্ধ্যা জুড়ে হারবার ব্রিজের তোরণগুলোতে প্রজেক্ট করা হবে। 

মধ্যরাতের ১২ মিনিটের প্রদর্শনীতে সাপের আকারে বায়বীয় শেল, শনির রিং এবং ঘোড়ার লেজের উইলো শেল অন্তর্ভুক্ত থাকবে। 

এবারের উৎসবে এক বছরের শেষ এবং অন্য বছরের শুরুকে চিহ্নিত করতে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করার থিম সংযুক্ত করা হয়েছে, যা আতশবাজি ও মিউজিকের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে। 

নতুন বছরকে বরণ করে নিতে আজ সিডনি শহরকে আলোকিত করবে ৮ দশমিক ৫ টন আতশবাজি।

আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago