ট্রাম্প প্রশাসন চীন, ভিয়েতনাম ও ভারতের মতো প্রতিযোগী রপ্তানিকারক দেশের ওপর কঠোর শুল্ক আরোপ করায় আমেরিকান বাজারে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী অবস্থান করে নিতে পারবে।
১ আগস্টের সময়সীমার আগেই চুক্তি চূড়ান্ত করতে মরিয়া প্রতিনিধি দলটি।
ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে চূড়ান্ত দফার শুল্ক আলোচনায় আবারও মার্কিন তুলা দিয়ে বানানো পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের জন্য চাপ দেবেন ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
‘যুক্তরাষ্ট্র একদিকে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগকারী। অন্যদিকে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির শীর্ষ গন্তব্য। কিন্তু, কৃষি বাণিজ্য কম।’
বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান ফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এখন পর্যন্ত আলোচনা আন্তরিক পরিবেশে হওয়ায় আমরা শুল্ক অনেকটাই কমার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনায় আমি ইতিবাচক ইঙ্গিত দেখতে পাচ্ছি।’
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ইউএসটিআর শেষ পর্যন্ত ২৯ জুলাই আলোচনার তারিখ নির্ধারণ করে।
বাংলাদেশি কর্মকর্তারা আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে তৃতীয় দফার আলোচনার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যেন আগামী ১ আগস্ট নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগেই একটি পারস্পরিক চুক্তি করা যায়।
বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান টেলিফোনে দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে জবাব পাঠানো হবে।
কারখানাগুলো জুন থেকে বড়দিন মৌসুমের জন্য পুরোদমে পোশাক তৈরি শুরু করবে, যা জুলাইয়ের শেষ পর্যন্ত চলবে। যুক্তরাষ্ট্রে এসব পণ্য পাঠানো শুরু হবে আগস্ট থেকে, যাতে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সেগুলো বিক্রি করা যায়।
ট্রাম্প প্রশাসনের ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের ওপর চাপ আরও বেড়েছে। এর ফলে দেশের তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ নেতারা এবং বিশ্লেষকরা উদ্বেগ জানিয়েছেন— বাংলাদেশ কি আদৌ তার বৈশ্বিক অবস্থান ধরে রাখতে...
এর মধ্যে আছে আরও বেশি সংখ্যক মার্কিন পণ্যকে শুল্কমুক্ত করার অনুমতি দেওয়া। মার্কিন তুলার জন্য গুদাম সুবিধা দেওয়া ও অশুল্ক বাধা দূর করা।
গত ৯ এপ্রিল রাত থেকে এই শুল্ক কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। ঠিক আগ মুহূর্তে ট্রাম্প তা ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ দেন। তা চীনের জন্য প্রযোজ্য নয়।
প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তানের দিক থেকেও প্রতিযোগিতার মুখে পড়ছে বাংলাদেশ। উভয় দেশের পণ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে শুল্কহার তুলনামূলক কম। তাই এই দেশ দুটি কম দামে পোশাক রপ্তানিতে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। এটি...
‘এই বিরতি বাংলাদেশকে প্রস্তুতির জন্য যথেষ্ট সময় দিচ্ছে।’
কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিদেশি ক্রেতারা রেডি-টু-শিপ পণ্যের ওপর বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের কাছে ১০ শতাংশ মূল্যছাড় দাবি করছেন। পোশাক তৈরির প্রক্রিয়ায় রপ্তানিকারকদের দেরি করতে বলছেন।
গাজীপুরে ঊর্মি গার্মেন্টসের দোকান থেকে চাল-ডাল, তেল, চিনি, চা-কফিসহ নিত্যপণ্য কেনা যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ৩৭ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন। তবে ওই আদেশে পণ্যভিত্তিক শুল্ক হারের তালিকা বা কাস্টমস গাইডেন্স...
আগের অর্থবছরে চীন থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ১৬ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি ছিল ৭১৫ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ডলার।