সিএনজি ও এলপিজি কনভার্সন খরচ বাড়তে পারে

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা।
সিএনজি ও এলপিজি কনভার্সন খরচ বাড়তে পারে
অলঙ্করণ: আনোয়ার সোহেল/স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

সিএনজি, এলপিজি ফিলিং স্টেশন স্থাপন ও পরিচালনার জন্য সিএনজি কনভার্সন কিট, সিলিন্ডার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের দাম বাড়তে পারে। এসব উপকরণের আমদানিতে বর্তমানে তিন শতাংশ আমদানি শুল্ক নির্ধারিত রয়েছে। এবারের বাজেটে তা বাড়িয়ে পাঁচ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

এ ছাড়াও পেট্রোলিয়াম পণ্য যেমন: সিনথেটিক লুব্রিকেন্টিং অয়েল, ফার্নেস অয়েল, বেজ অয়েল, মিনারেল লুব অয়েলের ব্যবহার বাড়ায় এসব জ্বালানি পণ্যের শুল্কায়ন পর্যায়ে ন্যূনতম মূল্য নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে এবারের বাজেটে।

কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত বছরগুলোর তুলনায় বর্তমানে দেশে হাইব্রিড গাড়ি ও আধুনিক প্রযুক্তির মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিনথেটিক লুব্রিকেন্টিং অয়েলের ন্যূনতম মূল্য পাঁচ হাজার মার্কিন ডলার, ফার্নেস অয়েলের ন্যূনতম মূল্য ৪৮০ মার্কিন ডলার, বেজ অয়েলের নূন্যতম মূল্য এক হাজার ২০০ মার্কিন ডলার এবং মিনারেল লুব অয়েলের ন্যূনতম মূল্য তিন হাজার মার্কিন ডলার নির্ধারণ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে চার দশমিক ছয় শতাংশ। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাত শতাংশের বেশি নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং আগামী অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছয় দশমিক ৭৫ শতাংশ হতে পারে।

প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা বেশি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। পরে এটি সংশোধন করে সাত লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা করা হয়।

Comments