বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমল

বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতে বরাদ্দ কমল
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

প্রস্তাবিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ প্রায় ১৫ শতাংশ কমিয়েছে সরকার।

এবার এই খাতে ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরে ছিল ৩৪ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা।

মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ আগের চেয়ে চার হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা কম এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ আগের চেয়ে ৯৩ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ পেয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের বরাদ্দ ২৯ হাজার ২৩০ কোটি টাকা এবং জ্বালানি বিভাগে এক হাজার ৮৭ কোটি টাকা।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, ২০০৯ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল মাত্র চার হাজার ৯৪২ মেগাওয়াট, যা বর্তমানে ক্যাপটিভ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ ৩০ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে নয় হাজার ১৪৪ মেগাওয়াট ক্ষমতার ২৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব ও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে এবং উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, 'সরকার ইতোমধ্যে তার অঙ্গীকার বাস্তবায়নে শতভাগ জনগোষ্ঠীকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে এসেছে এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াটে উন্নীত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।'

গ্রিডের আধুনিকায়ন করে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ২৪ হাজার সার্কিট কিলোমিটারে উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের, যা বর্তমানে ১৫ হাজার ২৪৬ সার্কিট-কিলোমিটার।

এবারের বাজেটের আকার সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের বাজেটের আকার বাড়ছে চার দশমিক ছয় শতাংশ। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।

বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। বাকি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা থাকবে। দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ইতোমধ্যে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা সাত শতাংশের বেশি নির্ধারণ করা হয়েছিল এবং আগামী অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রা ছয় দশমিক ৭৫ শতাংশ হতে পারে।

প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে, যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা বেশি।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। পরে এটি সংশোধন করে সাত লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

No justifiable reason to delay nat'l polls beyond Dec: Salahuddin

We have been able to make it clear that there is not even a single mentionable reason to hold the election after December, says the BNP leader

9h ago