প্যাকেজিং-প্রিন্টিং-পাবলিকেশন রপ্তানিতে সরকারের সহযোগিতা চান ব্যবসায়ীরা

প্রিন্টিং, প্যাকেজিং অ্যান্ড পাবলিকেশন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভা। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী প্যাকেজিং, প্রিন্টিং ও পাবলিকেশন খাতের হাজার বিলিয়ন ডলারের বাজার ধরতে সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগসহ আন্তর্জাতিক বাজার অনুসন্ধানে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রিন্টিং খাতের ব্যবসায়ীরা।

গত বৃহস্পতিবার সকালে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত প্রিন্টিং, প্যাকেজিং অ্যান্ড পাবলিকেশন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম সভায় এ বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সচিব আমিন।

তিনি বলেন, 'বিশ্বব্যাপী প্যাকেজিং, প্রিন্টিং ও প্রকাশনা খাতের সম্মিলিত বাজার প্রায় ১ হাজার ৫৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর ১ শতাংশ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা গেলেও সম্ভাব্য রপ্তানির পরিমাণ হবে ১৫ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সরকারি-বেসরকারি বিনিয়োগ সহায়তার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের পাশাপাশি বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে এখানে।'

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, 'বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে প্যাকেজিংয়ের ব্যবহার বাড়ছে, ভবিষ্যতে আরও বাড়বে। ইউরোপ-আমেরিকাতে প্রায় ৮০ ভাগ খাদ্যই প্রক্রিয়াজাত। দেশেও এর পরিমাণ ২০ ভাগের কাছাকাছি। এর মাধ্যমেই এই খাতের ব্যাপক সম্ভাবনা স্পষ্ট। বিপুল সম্ভাবনার এই বাজার ধরতে সরকারি সহায়তার পাশাপাশি রপ্তানি বৈচিত্রকরণ, শিল্প কারখানার কমপ্লায়ান্সসহ আন্তর্জাতিক মানের পণ্য তৈরি করতে ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসতে হবে।'

এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি ও কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ মো. আমিন হেলালী বলেন, 'দেশে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ প্রকাশনা হয়ে থাকে। উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় মানসম্মত প্যাকেজিং বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এটা এই শিল্পের জন্য হুমকিস্বরূপ। প্যাকেজিং শিল্পের প্রসার ও বিপুল রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের নীতি সহায়তাসহ সরকারি-বেসরকারি জোড়ালো সমন্বয় প্রয়োজন।'

এই সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান ও টাম্পাকো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুস সামি আলমগীর। প্যাকেজিং খাতের রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে আন্তর্জাতিক বাজার অনুসন্ধানসহ প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা চান তিনি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক মাহবুবুর রহমান। প্রিন্টিং প্যাকেজিং খাতের আন্তর্জাতিক বিশাল বাজার ধরতে এ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের উপপ্রধান মো. মাহমুদুল হাসান জানান, স্থায়ী ও টেকসই নীতিমালার জন্য গবেষনাভিত্তিক প্রতিবেদন তৈরিতে ট্যারিফ কমিশন কাজ করে। এ জন্য বাজেট পরবর্তী সময়েই প্রস্তাবনা জমা দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

এফবিসিসিআইর সহসভাপতি সালাউদ্দিন আলমগীর, পরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত সরকার, বিজয় কুমার কেজরিওয়াল, হাফেজ হারুন, ইকবাল শাহরিয়ার, আক্কাস মাহমুদ, কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. মুস্তাফিজুর রহমান, শামিম আহমেদ, সরকার মো. সালাউদ্দিন, মোহাম্মদ নেওয়াজ ও কমিটির অন্যান্য সদস্যরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Doubts growing about interim govt’s capability to govern: Tarique

"If we observe recent developments, doubts are gradually growing among various sections of people and professionals for various reasons about the interim government's ability to carry out its duties."

43m ago