বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ আরও কমেছে

বৈদেশিক মুদ্রা

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) রিজার্ভ হিসাব করার নিয়মানুসারে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমেছে।

দেশের ডলার মজুদ সঠিকভাবে নিরূপণ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১২ জুলাই আইএমএফের ম্যানুয়ালের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গ্রস ইন্টারন্যাশনাল রিজার্ভ (জিআইআর) প্রকাশ শুরু করে। সেই হিসাবে ওই দিন রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুসারে, গত ১৯ জুলাই রিজার্ভের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলারে।

জিআইআরের মধ্যে আছে স্বর্ণ, নগদ ডলার, বন্ড ও ট্রেজারি বিল, আইএমএফে রিজার্ভ পজিশন ও স্পেশাল ড্রয়িং রাইটস হোল্ডিংস।

রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সের বিপরীতে আমদানি বেশি হওয়ায় গত কয়েক মাস ধরে দেশের রিজার্ভ চাপে আছে।

সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে রপ্তানি থেকে আয় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ডলার ও রেমিট্যান্স ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আইএমএফের মেনে নেওয়া শর্তের অংশ হিসেবে আইএমএফের পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভের তথ্য প্রকাশ করা শুরু করেছে।

ঋণ কর্মসূচির শর্ত অনুসারে, আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার ও চলতি বছরের শেষ নাগাদ ২৬ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার হতে হবে।

এটি জুনের রিজার্ভের ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলারের শর্ত পূরণে ব্যর্থ হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে, চলতি অর্থবছর শেষে জিআইআর ৩১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে।

এটি ২০২০-২১ সালে ছিল ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১-২২ সালে ছিল ৪১ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক জিআইআরের সঙ্গে এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ড ও অন্যান্য বৈদেশিক সম্পদ যুক্ত করে মোট বৈদেশিক সম্পদের কথাও জানিয়েছে।

এতে দেখা গেছে, গত ১৯ জুলাই রিজার্ভ ছিল ২৯ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। এটি এর আগের বছরের ৩৯ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলারের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ কম।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh tops sea arrivals to Italy

The number of Bangladeshis crossing the perilous Mediterranean Sea to reach Italy has doubled in the first two months this year in comparison with the same period last year.

4h ago