বেশি দামের কারণে রমজানে নিত্যপণ্যের চাহিদা কমতে পারে ২০ শতাংশ

গম আমদানি কমে যাওয়ায় আটার রুটি ও বিস্কুট তৈরিতে ইতোমধ্যে ভোজ্যতেল ও চিনির ব্যবহার কমে গেছে।
নিত্যপণ্য

বাজারে পণ্যমূল্য বেশি থাকায় আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ কমতে পারে।

নিত্যপণ্যের দাম ও বাজার পরিস্থিতি নিয়ে আজ রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্কফোর্সের বৈঠকে এমন আভাস দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, গম আমদানি কমে যাওয়ায় আটার রুটি ও বিস্কুট তৈরিতে ইতোমধ্যে ভোজ্যতেল ও চিনির ব্যবহার কমে গেছে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে গত সাড়ে ৮ মাসে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে গমের মোট আমদানি হয়েছে ২১ দশমিক ৫৮ লাখ টন। ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ে গম আমদানি হয়েছিল এর প্রায় দ্বিগুণ ৪০ দশমিক ১২ লাখ টন।

গম আমদানি কম হওয়ায় ভোজ্যতেলের ব্যবহার কমবে বলে আশা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বৈঠকে জানানো হয়, দেশে বর্তমানে ৩ লাখ ২ হাজার ১৬০ টন ভোজ্যতেলের মজুদ আছে। রমজানের সাধারণ চাহিদার চেয়ে মজুদের পরিমাণ কিছুটা বেশি আছে।

আরও ২ লাখ ৭৫ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি প্রক্রিয়াধীন আছে বলেও বৈঠকে জানানো হয়।

তবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বর্তমান চিনির মজুদ রমজানের মোট চাহিদার চেয়ে কম।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ধারণা, রমজানে চিনির চাহিদা দ্বিগুণ হয়ে ৩ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে, যেখানে দেশে চিনির মাসিক গড় চাহিদা দেড় লাখ টন।

চিনির বর্তমান মজুদ ২ লাখ ২৫ হাজার ৫৬০ টন। এছাড়া, প্রায় ৬ লাখ টন চিনি দেশে পৌঁছানোর কথা আছে বলে বৈঠকে জানানো হয়।

ঋণপত্র (এলসি) নিষ্পত্তির মাধ্যমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই চিনি আমদানির ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

Comments