শুরু হলো ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রুপিতে বাণিজ্য

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
রুপিতে বাণিজ্য
লা মেরিডিয়ান হোটেলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতীয় হাইকমিশন ২ দেশের বাণিজ্যে রুপি ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে। ছবি: স্টার

বাংলাদেশ ও ভারত রুপিতে বাণিজ্য শুরুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে। ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে প্রতিবেশী ২ দেশ রুপিতে বাণিজ্য শুরুর এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার ঢাকার লা মেরিডিয়ান হোটেলে এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতীয় হাইকমিশন ২ দেশের বাণিজ্যে রুপি ব্যবহারের ঘোষণা দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের তামিম অ্যাগ্রো ও ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়াকে এলসি দেওয়া হয়। সোনালী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ভারতের স্টেট ব্যাংক ও আইসিআইসি ব্যাংক আমদানি ও রপ্তানিকারকদের হাতে এই এলসি তুলে দেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ, ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতীয় হাইকমিশন ঢাকায় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আবদুর রউফ তালুকদার ভারতে বাংলাদেশ ভ্রমণকারীদের সুবিধার্থে আগামী সেপ্টেম্বরে 'টাকা-রুপি কার্ড' চালুর সম্ভাবনার কথা জানান। এই কার্ড দিয়ে দেশে ও প্রতিবেশী ভারতে বিল পরিশোধ করা যাবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই উদ্যোগ দেশের আমদানিকারকদের কিছুটা স্বস্তি দেবে। তারা প্রতিবেশী দেশ থেকে পণ্য কিনতে রুপিতে এলসি খুলতে পারবেন। ফলে ডলারের ব্যবহার কিছুটা কমবে।

ডলারের ঘাটতির কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও কমে যাওয়া রোধ করতে সরকার আমদানিবিধি কঠোর করেছে। এক বছর আগের তুলনায় রিজার্ভ কমেছে প্রায় ৩০ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে সোনালী ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক ও ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়াকে (এসবিআই) প্রতিবেশী দেশটিতে তাদের অংশীদারদের সঙ্গে নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিয়েছে।

২ দেশের মধ্যে প্রায় ১৬ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের একটি অংশের মূল্য পরিশোধের সুবিধার্থে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোকে ভারতে অ্যাকাউন্ট খোলার অনুমতি দিয়েছে।

রপ্তানি ও রেমিট্যান্স থেকে আসা অর্থের তুলনায় আমদানি মূল্যের পরিমাণ বেশি হওয়ায় দেশের রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। গত দেড় বছরে টাকার দাম কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। এর অবমূল্যায়ন এখনো অব্যাহত আছে।

Comments