চরে ভরসা ঘোড়ার গাড়ি

রাজধানী ঢাকা থেকে আড়াইশ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ফুলছড়িতে গেলে দেখা মিলবে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ির।
ঘোড়ার গাড়ি, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা, যমুনা,
ফুলছড়ি থেকে ঘোড়ার গাড়িতে মালামাল যমুনার চরে পৌঁছাতে হয় স্থানীদের। ছবি: মোস্তফা সবুজ

গ্রাম-বাংলার আবহমান ঐতিহ্য ঘোড়ার গাড়ি। যান্ত্রিক যানের কবলে সেই ঐহিত্য প্রায় হারাতে বসেছে। এখন গ্রামে গ্রামে ঘোড়ার গাড়ির প্রচলন নেই, সেই স্থান দখল করে নিয়েছে বিভিন্ন যান্ত্রিক যান। ঘোড়াও খুব বেশি চোখে পড়ে না।

ঘোড়ার গাড়ি, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা, যমুনা,
চর জিগাবাড়ি থেকে একটি শিশু তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এক চর থেকে অন্য চরে যাচ্ছে। ছবি: মোস্তফা সবুজ

তবে, এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা। রাজধানী ঢাকা থেকে আড়াইশ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ফুলছড়িতে গেলে দেখা মিলবে ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ির। ফুলছড়ির চরে এখনো চলাচল করছে ঘোড়ার গাড়ি। এখানকার বাসিন্দারা এই গাড়িতেই মালামাল বহন করেন।

ফুলছড়ি থেকে থেকে মালামাল নিয়ে  যমুনা নদীর প্রায় ২০ কিলোমিটার উজানে নৌকায় করে চরে পৌঁছাতে হয় তাদের।

ঘোড়ার গাড়ি, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা, যমুনা,
ঘোড়ার গাড়িতে মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ছবি: মোস্তফা সবুজ

ডেইলি স্টারের বগুড়া সংবাদদাতা জানান, ফুলছড়ির চরাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি বড় সমস্যা। এখানে যোগাযোগের জন্য মূলত ঘোড়ার গাড়ি ও নৌকা ভরসা। এখানে এক চর থেকে অন্য চরে যেতে এবং পণ্য পরিবহনে ঘোড়ার গাড়িই একমাত্র ভরসা। বর্ষার সময় এই এলাকার নৌকা এবং শুকনো মৌসুমে ঘোড়ার গড়িই একমাত্র ভরসা।

Comments