চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলামে আপেলের কেজি ৬১, মাল্টা ৬৭ টাকা

নিলামে বিক্রি হওয়া মাল্টা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস গত ৮ জুলাই প্রায় ১১৮ টন ফল নিলামে বিক্রি করেছে ৭৪ লাখ ৬ হাজার টাকায়। এতে প্রতি কেজি আপেলের দাম পরেছে ৬১ টাকা এবং প্রতি কেজি মাল্টার ৬৭ টাকা।

নিলাম কর্তৃপক্ষ এসব ফলের রিজার্ভ মূল্য দুই কোটি নয় লাখ টাকা নির্ধারণ করলেও ফলের মান নষ্ট হওয়ার কারণে উন্মুক্ত নিলামে দরদাতারা তেমন আগ্রহ দেখাননি।

চলতি বছরের শুরুতে প্রায় ৯৪ দশমিক ৮৮ টন আপেল এবং প্রায় ২৩ দশমিক ৪৬ টন মাল্টা আমদানি হয়েছিল। ঢাকার চার আমদানিকারক—ট্রেডেকো, খাদিজা এন্টারপ্রাইজ, জারিফা এন্টারপ্রাইজ এবং সিদ্দিক অ্যান্ড সন্স—এগুলো আমদানি করেছিল।

আমদানিকারকরা সময়মতো পণ্য না নেওয়ায় গত মে মাসে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করে।

এক কাস্টমস কর্মকর্তা জানান, আমদানি মূল্যের চেয়ে বাজারে দাম কম দেখলে ব্যবসায়ীরা আমদানিকৃত পণ্য, বিশেষ করে ফলের চালান নিতে চান না।

বন্দর জেটিতে জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করার পর আমদানিকারকদের ৩০ দিনের মধ্যে তাদের আনা পণ্য নিয়ে যেতে হয়।

৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকৃত পণ্য না নিলে শুল্ক কর্তৃপক্ষ আমদানিকারকদের নোটিশ পাঠায়।

নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আমদানিকারক পণ্য না নিলে শুল্ক কর্তৃপক্ষ সেই পণ্য নিলাম করতে পারে।

হোসাইন ট্রেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী এবং আপেলের শীর্ষ দরদাতা আলম হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আপেলগুলোর মান ভালো ছিল না। আমি ১০০ দরদাতার মধ্যে সর্বোচ্চ দাম দিয়েছি।'

একজন কাস্টমস কর্মকর্তা বলেন, 'শতাধিক দরদাতা উন্মুক্ত নিলামে অংশ নিয়েছিলেন এবং সর্বোচ্চ দরদাতাদের নাম উল্লেখ করে সেটা নিলাম কমিটির কাছে পাঠানো হবে। নিলাম কমিটি অনুমোদন দিলে পণ্য হস্তান্তর করা হবে।'

'নিলাম কমিটি অনুমোদন না দিলে আবারও এগুলো নিলাম করা হবে,' যোগ করেন তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

Made with US cotton? Pay less at US customs

US customs will apply a tariff rate only to the non-American portion of a product's value

10h ago