চট্টগ্রাম কাস্টমসে ‘পামির কোলার’ নিলামে হট্টগোল-হাতাহাতি

চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখায় হট্টগোল। ছবি: সংগৃহীত

প্রায় ১৬ হাজার লিটার বা ৫২ হাজার ক্যান আফগান কোল্ড ড্রিংকস পামির কোলা উন্মুক্ত নিলামে তুলেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজ।

আজ বুধবার কাস্টমসের নিলাম শাখায় নিলামের সময় বিডারদের মধ্যে হট্টগোল-হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার দুপুরে কাস্টমসের নিলাম শাখায় এ নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। কাস্টমসের নিলামের নিয়মিত বিডারে সাথে নতুন আসা বিডারদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।  

নিলাম সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুটি চালানে পণ্যের পরিমাণ ও ব্র্যান্ড একই হওয়া স্বত্বেও নিলামে মূল্য ব্যবধান প্রায় তিনগুণ। যদিও এসব পণ্যের প্রকৃত মূল্য আরও কয়েকগুণ বেশি। নতুন বিডারদের কয়েকজন এবারের চালানটি নেওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে নিলাম কার্যক্রম শুরু করেন নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কে এম করপোরেশনের কর্মীরা। ১৫ মিনিট ধরে চলা এ নিলামে প্রায় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। 

সাত লাখ টাকা দিয়ে দর শুরু করা হলেও তা ৩৫ লাখে শেষ হয়। নিলাম শেষে চলে যাওয়ার সময় সর্বোচ্চ দরদাতা সেলিমের সঙ্গে নিলামে অংশ নেওয়া আরেক বিডার মোহাম্মদ পারভেজের হাতাহাতি হয়। এসময় উভয় পক্ষের লোকজন পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সেলিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বন্দর থানায় এ বিষয়ে জিডি করতে এসেছি। এ বিষয়ে এখন কোনো মন্তব্য করতে চাই না।'

তবে, এ বিষয়ে মোহাম্মদ পারভেজের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর জোনের ডিসি মোহাম্মদ বদরুল আলম মোল্লা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিলাম প্রক্রিয়া শেষে বিডারদের দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও সামন্য হাতাহাতি হওয়ার তথ্য পেয়েছি। দুই পক্ষই থানায় জিডি করতে এসেছেন। ঘটনার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।'  

দুপক্ষের রাজনৈতিক পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'তারা ব্যবসায়ী। তাদের মধ্যে নিলামে পণ্য কেনা নিয়ে বিরোধ থাকতে পারে।'

যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার আতিকুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নিলাম কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর দুই পক্ষের মধ্যে কিছুটা হট্টগোল হয়েছিল। ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানোর জন্য পুলিশের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে।'

এর আগে, গত ১৯ মার্চ ১৬ হাজার লিটার পামির কোলার চালানের সর্বোচ্চ ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা দর উঠেছিল। সে চালানটি পেয়েছিল রফিক অ্যান্ড ব্রাদার্স। 

এবারের সর্বোচ্চ দরদাতা সেলিম ও রফিক উভয়ই চট্টগ্রাম কাস্টমস বিডার সমিতির সদস্য।

উভয় চালানে কাস্টমস সংরক্ষিত মূল্য নির্ধারণ করেছিল প্রায় ৮৪ লাখ টাকা করে।

Comments

The Daily Star  | English

‘We knew nothing about any open letter’

Journalist Bibhuranjan’s son says after identifying his body

2h ago