পাটের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে কাজ করবে এফবিসিসিআই: মাহবুবুল আলম

এফবিসিসিআই, মাহবুবুল আলম, পাট, পাট শিল্প,
এফবিসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে পাট শিল্প খাতের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় কথা বলছেন মাহবুবুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, পাট শিল্পের সমস্যাগুলো সমাধান করে এই শিল্পের সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনতে এই খাতের উদ্যোক্তা, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করবে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় এফবিসিসিআইয়ের গুলশান কার্যালয়ে পাট শিল্প খাতের বিরাজমান সমস্যা সমাধানে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, 'প্রাচীনকাল থেকে আমাদের পাট শিল্প ছিল অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। একসময় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান হাতিয়ার ছিল এই পাট। এমনকি স্বাধীনতার পরেও দুয়েক বছর আমাদের পাট শিল্পের গৌরব ছিল অক্ষত। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সেই পাটশিল্পের গৌরব আজ নানাবিধ কারণে ম্লান হতে বসেছে। এই শিল্পের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণের কোন বিকল্প নেই।'

'পাটের সোনালি আঁশ কাজে লাগিয়ে কীভাবে রপ্তানি বৃদ্ধি করা যায়, কীভাবে পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় সেটি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। পাটজাত পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের মাধ্যমে বিশ্বের নতুন নতুন বাজার সৃষ্টি ও রপ্তানি বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় সব সহযোগিতা দেবে এফবিসিসিআই,' বলেন তিনি।

ওই মতবিনিময় সভায় পাটজাত শিল্পের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন সংগঠন ও এই খাতের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।

তারা পাট শিল্পের সমস্যা সমাধানে কিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- কাঁচাপাটের উপর ২ শতাংশ উৎসে কর রহিত করা, পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন-২০১০ শতভাগ বাস্তবায়ন ও পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ, অ্যান্টি ডাম্পিং নিয়ে আপিল করা, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পাটজাত পণ্যকে কৃষিজাতপণ্য হিসেবে ঘোষণা বাস্তবায়ন, পাটশিল্প রক্ষায় ইডিএফের মতো জেএসডিএফ গঠন, পাটকলগুলোর মেশিনারিজের আধুনিকায়নের জন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মতো ৩০ শতাংশ ভর্তুকি ও স্বল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করা, করোনাকালীন শিল্প সেক্টরে সরকার প্রদত্ত প্রণোদনা বেসরকারি পাটকলগুলো না পাওয়ায় তার পরিবর্তে ব্যাংক সুদ মওকুফ করা, সব পাট পণ্য রপ্তানিতে ৭ শতাংশ, ১২ শতাংশ ও ২০ শতাংশ প্রণোদনার পরিবর্তে ইয়ার্ন ও টোয়াইন হেসিয়ান, সেকিং ও সিবিসির জন্য ২০ শতাংশ ও  বহুমুখী পাট পণ্যের জন্য ২৫ শতাংশ হিসেবে নগদ সহায়তা বৃদ্ধি, রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনার ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎসে কর রহিত করা।

পাটশিল্প খাতের ব্যবসায়ীরা বলেন, 'কাঁচাপাটের ওপর ২ শতাংশ উৎসে কর আরোপ করায় তা বাংলাদেশের কৃষক ও কাঁচা পাট ব্যবসায়ীদের ওপর প্রভাব ফেলেছে। ফলে, কৃষক পাট উৎপাদনে নিরুৎসাহিত হওয়ার পাশাপাশি পাট উৎপাদন ব্যাহত হতে পারে।

বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বাংলাদেশ পাটকল সমিতি) প্রেসিডেন্ট ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক মো. আবুল হোসেন বলেন, 'পাট শিল্পকে রক্ষায় ইডিএফের মতো জেএসডিএফ গঠন অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাটশিল্পে স্বল্প সুদে ঋণ প্রদান করা হলে মিল মালিকরা চিরাচরিত পাট পণ্যের সঙ্গে বহুমুখী পাট পণ্য উৎপাদনে উদ্বুদ্ধ হবে এবং স্বল্প মূল্যে দেশে ও বিদেশের বাজারে পাট পণ্য ও বহুমুখী পাট পণ্য বিক্রি/রপ্তানি বাড়াতে সচেষ্ট হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Tribute to July uprising: Drone show lights up Dhaka's sky

In 12 vivid motifs, the July uprising came alive, tracing the heroism of Abu Sayed and the stirring role of women in the movement

7h ago