নেই গ্যাস-বিদ্যুৎ, সংকটে মেঘনা গ্রুপের ৭০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ

মেঘনা গ্রুপ

গ্যাস-বিদ্যুতের অভাবে মেঘনা শিল্প গোষ্ঠীর (এমজিআই) তিন কারখানা তৈরির দুই বছর পরও উৎপাদন শুরু করতে পারেনি। এই তিন কারখানা গড়তে ৭০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করা হয়েছে।

মেঘনা শিল্প গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইস্পাত কারখানায় ৪০০ মিলিয়ন ডলার, কাঁচ কারখানায় ২০০ মিলিয়ন ডলার ও পেপারবোর্ড কারখানায় ১০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছি।'

এসব কারখানা রক্ষণাবেক্ষণে ২০২২ সাল থেকে বছরে প্রায় ৮০ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে।

মোস্তফা কামাল আরও বলেন, 'কবে গ্যাস-বিদ্যুৎ পাবো সে বিষয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি। এ ছাড়াও, সরকারি কর্মকর্তারা এখন যথাযথ মূল্যায়ন ছাড়াই আগের সরকারের দেওয়া জমি বরাদ্দ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।'

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চলটি ৩৫০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত।

মোস্তফা কামালের ভাষ্য, '২০২২ সালে বেজা গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল), পেট্রোবাংলা, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল), কুমিল্লা ইজেড ও জ্বালানি বিভাগের প্রতিনিধিদের নিয়ে বহুপাক্ষিক বৈঠক করেছে।'

গ্যাস-বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে নানান সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও কোনোটিই এখনো দৃশ্যমান নয়।

তিনি জানান, সংযোগ প্রক্রিয়া দ্রুত করতে মেঘনা গ্রুপ গ্রিড নেটওয়ার্ক উন্নয়নে ১০০ কোটি টাকা ও জিটিসিএলের পাইপলাইন অবকাঠামো উন্নয়নে আরও ১০০ কোটি টাকা দিয়েছে।

'এসবের অগ্রগতি হতাশাজনক,' বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বেজা ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সমাধান পেতে মেঘনা ও ইউটিলিটি সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।'

অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস-বিদ্যুৎ দেওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত করতে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

এই পরিস্থিতির জন্য তিনি বেসরকারি খাতে বিগত সরকারের 'নির্বিচারে' জমি বরাদ্দকেও দায়ী করেছেন।

টিজিটিডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গ্যাস সংকটের কারণে বর্তমানে শিল্প ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে নতুন সংযোগ দেওয়া যাচ্ছে না।'

'সম্প্রতি পেট্রোবাংলার পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস সংযোগ সংক্রান্ত সভা হয়। সেখানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা হয়।'

তার মতে, পর্যাপ্ত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস আমদানি করা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

পিজিসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুর রশিদ খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য হাই-ভোল্টেজ বিদ্যুৎ সংযোগ দিই। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) মতো পরিবেশকরাও বেসরকারি অর্থনৈতিক অঞ্চলে সংযোগ দেয়।'

'কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চল থেকে কোনো আবেদনের কথা আমার জানা নেই।'

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh RMG sector

RMG sector on edge as tariff talks make no headway

The diverging outcomes threaten to create a multi-tiered tariff landscape in Asia, placing nations like Bangladesh at a serious disadvantage in the US market.

11h ago