চট্টগ্রাম থেকে পেনাং বন্দরের কনটেইনারে ‘মরদেহ’

সিনোকরের জাহাজ সোয়াসদি আটলান্টিকে কনটেইনারটি চট্টগ্রাম থেকে পেনাং পাঠানো হয়। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে গত ৯ অক্টোবর মালয়েশিয়ার পেনাং বন্দরে পৌঁছানো একটি কনটেইনারে একটি মরদেহ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।

ওই কনটেইনারটি দক্ষিণ কোরিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান সিনোকরের মালিকানাধীন বলে প্রতিষ্ঠানটির বাংলাদেশি এজেন্ট গ্লোবলিঙ্ক অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মঈনুল হক চৌধুরী নিশ্চিত করেছেন।

তবে মৃতের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি। 

মঈনুল হক চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সিনোকরের নিজস্ব জাহাজ সোয়াসদি আটলান্টিক গত ৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পেনাংয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। সেটি ৯ অক্টোবর পেনাং পৌঁছায়। সেখানে কিছু কনটেইনার নামিয়ে জাহাজটি ১০ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে চলে যায়।

তিনি আরও জানান, পরে পেনাং বন্দর কর্তৃপক্ষ ১৪ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই জাহাজ থেকে নামানো একটি খালি কনটেইনারে সন্দেহজনক কিছু থাকতে পারে বলে সিনোকরের স্থানীয় এজেন্টকে জানায়।

'সোমবার আমরা জানতে পেরেছি যে ওই কনটেইনারে একটি মরদেহ পাওয়া গেছে। সিনোকর থেকে গ্লোবলিঙ্ককে বিষয়টি জানানো হয়েছে,' বলেন মঈনুল হক।

এই কনটেইনারটি সীতাকুণ্ডের বেসরকারি বিএম ডিপো থেকে গত ৪ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরে নিয়ে জাহাজে তোলা হয় বলে জানান তিনি।

ডিপো থেকে কনটেইনারে কেউ উঠতে পারে কি না, জানতে চাইলে মঈনুল বলেন, 'বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে খুবই সতর্কতার সঙ্গে ডিপোটি পরিচালনা করা হচ্ছে এবং সেখান থেকে শুধু খালি কনটেইনার পরিবহন করা হচ্ছে। যে কোনো খালি কনটেইনার বন্দরে প্রবেশের সময় নিয়মানুযায়ী তল্লাশি করা হয়। কনটেইনারটি পেনাং নামানোর পর ৪ দিন ওই বন্দরে রাখা ছিল। সেখানেও কিছু হয়ে থাকতে পারে। তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি জানা যাবে।'

এদিকে সোশ্যাল নিউজ ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডঅফবাজ ডটকমে এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, পেনাং বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি কনটেইনারে একটি মরদেহ পেয়েছে। কনটেইনারটি ৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পাঠানো হয় এবং ৯ দিন পর গত ১৫ অক্টোবর সেটি পেনাং পৌঁছায়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মৃত ব্যক্তি কয়েকদিন ধরে ওই কনটেইনারে বন্দি ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মরদেহের ছবি মালয়েশিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)।

চবক সচিব মো. ওমর ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তারা এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো তথ্য পাননি।

তিনি জানান, 'গত ৬ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মালয়েশিয়ার উদ্দেশে দুটি জাহাজ ছেড়ে গেছে বলে জানি। মরদেহ পাওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago