বেনাপোল

বিএসএফের বাধায় বন্ধ কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনালের নির্মাণকাজ ফের শুরু

দেড় মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল শুক্রবার থেকে বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। ছবি: স্টার

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বাধায় দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকার পর গতকাল থেকে আবার কাজ শুরু হয়েছে।

ভারতীয় বিএসএফ, কাস্টমস ও বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে আবারও নির্মাণকাজ শুরু হয়।

বিজিবি ও বন্দর সূত্র জানায়, বিএসএফের বাধার কারণে গত ২৫ জানুয়ারি থেকে বন্ধ হয়ে যায় বন্দরের ভেহিক্যাল টার্মিনালের নির্মাণকাজ। টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের ১৬ একর সীমান্ত সংলগ্ন জমির ওপর ১৫০ গজ সীমানার মধ্যে পড়ায় নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেয় বিএসএফ। দীর্ঘদিন দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের মধ্যে চিঠি চালাচালির পর গত সোমবার সকালে বেনাপোল স্থলবন্দরের আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় দুই দেশের স্থলবন্দর সমন্বয় কমিটির সভা। বাংলাদেশ-ভারত উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের উপস্থিতিতে প্রকল্প নির্মাণ কাজে বাধা না দেওয়ার বিষয়টি সর্ব সম্মতিতে গৃহীত হয়।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান জানান, দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কারণে সৃষ্ট জটিলতা দ্রুত সামাধান করা সম্ভব হয়েছে। নির্মাণ কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।

বেনাপোল বন্দরের ডাইরেক্টর (ট্রাফিক) রেজাউল করিম বলেন, বিএসএফের বাধার মুখে গত ২৫ জানুয়ারি বন্ধ হয়ে যায় বন্দরের কার্গো ভেহিক্যাল টার্মিনাল নির্মাণ কাজ। বিষয়টি সমাধানে লক্ষ্যে বন্দর টার্মিনালে দুই দেশের বিএসএফ, বিজিবি কাস্টমস, ও বন্দও কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক হয়। দীর্ঘ আলোচনায় বিএসএফ ও পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ বন্ধ হয়ে যাওয়া নির্মাণ কাজ পুনরায় শুরু করার অনুমতি দেয়। ফলে গতকাল থেকে ফের শুরু হয়েছে নির্মাণকাজ। আগামী জুন মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

6h ago