৭ মাসের মধ্যে সেপ্টেম্বরে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স ১.৫৪ বিলিয়ন ডলার

ছবি: রয়টার্স

গত সাত মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিট্যান্স এসেছে সেপ্টেম্বর মাসে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১১ শতাংশ কমে এই মাসে প্রবাসী আয় এসেছে ১ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত আগস্টের তুলনায় কমেছে ২৪.৪ শতাংশ।

উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং ডলারের ঘাটতির কারণে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে চাপে আছে বাংলাদেশ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, প্রবাসী আয় কম আসায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের ওপর সেই চাপ আরও বাড়াতে পারে।

আগস্ট মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ২ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, রেমিট্যান্স হ্রাস ইতোমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। গত ২৮ সেপ্টেম্বর দেশের ডলারের মজুদ কমে ৩৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে দাঁড়ায় যা ৩১ আগস্টের তুলনায় ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কম।

তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রেমিট্যান্স গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ বেড়ে ৫ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার এসেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই কর্মকর্তা বলেন, আগামী দিনেও রেমিট্যান্স কমতে থাকলে বিদেশি মুদ্রার বাজারে চলমান অস্থিরতা আরও গভীর হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত বিদেশি মুদ্রার বাজারে চলমান চাপ কমানোর লক্ষ্যে আরও বেশি রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে ব্যাংকগুলোকে উদ্বুদ্ধ করা।

ডলারের ঘাটতির কারণে গত কয়েক মসে স্থানীয় মুদ্রা টাকার বড় অবমূল্যায়ন হয়েছে। এর মধ্যেও কমেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডলারের মজুদ। প্রতি ডলারের বিনিময় হার গত ২৯ সেপ্টেম্বর ১০৭.৫ টাকায় দাঁড়িয়েছে যা এক বছরে ২৫.৭ শতাংশ কম।

 

Comments

The Daily Star  | English

Chief adviser holds high-level meeting to review law and order

The chiefs of three services and several advisers were in attendance, among others

34m ago