মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ৫৫৮ ডলার, ৭ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে

বাংলাদেশে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ৭ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
জানুয়ারি থেকে রিজার্ভ সংকট থাকবে না: গভর্নর

বাংলাদেশে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ৭ বছর আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই বৈদেশিক ঋণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণ ছিল ৫৫৮ ডলার, যা ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৪৮২ ডলার।

২০১৫-১৬ অর্থবছরে দেশের মাথাপিছু বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ২৫৭ ডলার।

গত অর্থবছরে দেশের মোট বৈদেশিক ঋণ ছিল ৯৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার, যা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ছিল ৪১ দশমিক ১৭ বিলিয়ন ডলার।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সরকার রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, ঢাকা মেট্রোরেল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর ও বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং কর্ণফুলী টানেলসহ বিদেশি অর্থায়নে বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এর মধ্যে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য বৈদেশিক ঋণ প্রায় ১২ বিলিয়ন ডলার।'

তিনি বলেন, 'এর ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়েছে।'

তিনি জানান, তারপরেও বাংলাদেশ এখনো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সরকারি খাতের ঋণ ও জিডিপি অনুপাতের সীমার নিচেই আছে।

তিনি বলেন, 'জিডিপির ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৈদেশিক ঋণ নেওয়ায় কোনো ঝুঁকি নেই।'

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে সরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণ ও জিডিপির অনুপাত ছিল ১৪ দশমিক ৯ শতাংশ।

Comments