শিল্প উৎপাদন প্রবৃদ্ধি প্রায় অর্ধেক কমেছে

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং দেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে বাংলাদেশের শিল্প উৎপাদন প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বিবিএস, উৎপাদন,
প্রতীকী ছবি। স্টার ফাইল ফটো

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং দেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে বাংলাদেশের শিল্প উৎপাদন প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংকলিত বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বৃহৎ ও মাঝারি শিল্পের গড় উৎপাদন বেড়েছে ৯ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ, যা তার আগের অর্থবছরের ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কম।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, 'রপ্তানি আদেশ কমে যাওয়া ও অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যার কারণে উৎপাদনের হার কমেছে। আগামীতে রপ্তানি আদেশ আরও কমতে পারে।'

উদাহরণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি বাজার জার্মানিতে চলমান মন্দা পরিস্থিতি সম্প্রতি তীব্র আকার ধারণ করেছে।

'সুতরাং আগামী দিনগুলোতে বিক্রি বৃদ্ধির কোনো আশা দেখছি না,' বলেন হাতেম।

দেশে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট পোশাক শিল্পের উৎপাদন প্রবৃদ্ধির ধীরগতির অন্যতম কারণ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, 'বৈশ্বিক বাজার পরিস্থিতি দেশীয় শিল্পের উৎপাদনে প্রভাব ফেলেছে। করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্ববাজার অস্থিতিশীল অবস্থা তৈরি হয়েছে, ফলে বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এতে অভ্যন্তরীণ বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।'

তিনি উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যথাক্রমে ১৩ শতাংশ ও ১৫ শতাংশেরও বেশি আমদানি কমিয়েছে। সুতরাং, এই ২টি প্রধান বাজার থেকে চাহিদা কমার বিষয়টি বিবেচনায় নিলে উৎপাদন প্রবৃদ্ধি কমার পরিমাণ খুব খারাপ নয়। এছাড়া উৎপাদন খাতে ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজের সমস্যাগুলো ক্রমাগত নিম্ন উৎপাদনশীলতায় অবদান রাখছে।'

বিবিএস কারখানার উৎপাদনের গতিবিধি মূল্যায়নে মাসিক ভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে ২ হাজার ৪০টি কারখানা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। এর মধ্যে আছে- পোশাক, বস্ত্র, খাদ্যপণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, মৌলিক ধাতু, রাসায়নিক ও রাসায়নিক পণ্য, ধাতব পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস ও অধাতব খনিজ পণ্য।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী জায়েদি সাত্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমদানি কমায় উৎপাদন প্রবৃদ্ধি কমে গেছে।

গত অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে আমদানি কমেছে প্রায় ১২ শতাংশ

সাত্তার বলেন, মূলত দেশের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি হয়, সেখানে আমদানি প্রয়োজন। সুতরাং, আমদানি সংকোচন উৎপাদন ও জিডিপি প্রবৃদ্ধির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে।

সংক্ষেপিত: পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন Industrial production growth almost halves.

Comments