বাড়ি ভাড়া বেড়েছে ৫.৯৩ শতাংশ: বিবিএস

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, বিবিএস, বাড়ি ভাড়া, হাউজ রেন্ট ইনডেক্স,

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপ্রিল-জুনে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়ি ভাড়া ৫ দশমিক ৯৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি অনেক নিম্ন ও মধ্যম আয়ের পরিবারের জীবনযাত্রাকে আরও ব্যয়বহুল করেছে।

হাউজ রেন্ট ইনডেক্স (এইচআরআই) অনুযায়ী, ভাড়ার খরচ (ত্রৈমাসিক থেকে ত্রৈমাসিক) শূন্য দশমিক ১২ শতাংশীয় শতাংশ পয়েন্ট বেড়েছে, যা আগের অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকে ছিল ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ।

এছাড়া, অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে বাড়ি ভাড়ার গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। তবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বাড়ি ভাড়ার গড় প্রবৃদ্ধি ছিল ৬ দশমিক ১১ শতাংশ।

কংক্রিট, ঢেউটিন লোহার শিট ও মাটির ঘর- এই তিন ক্যাটাগরির বাড়ি ভাড়ার খরচ সংকলন করে বিবিএস তাদের হালনাগাদ এইচআরআই প্রকাশ করেছে।

এইচআরআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল-জুন ত্রেমাসিকে সর্বোচ্চ ভাড়া বেড়েছে মাটির ঘর ক্যাটাগরিতে, এর সম্পর্কিত সূচক ১১০ দশমিক ৮৩ থেকে বেড়ে ১১১ দশমিক ১৯ হয়েছে।

বিবিএসের এক কর্মকর্তার মতে, বাড়ি ভাড়া ভোক্তা মূল্য সূচকের নন-ফুড ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত।

দেশের ভাড়াটেদের সংগঠন বাংলাদেশ ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার বলেন, 'বাড়ির মালিকরা যখন-তখন ভাড়া বাড়ালেও বিষয়টি দেখার কেউ নেই।'

তিনি অভিযোগ করেন, 'বাংলাদেশে প্রিমিসেস রেন্ট কন্ট্রোল অ্যাক্ট-১৯৯১ থাকলেও, এর কোনো বাস্তবায়ন নেই।'

এই আইন অনুযায়ী, যদি কোনো বাড়ির ভাড়া তার স্ট্যান্ডার্ড পয়েন্টের চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়, তাহলে চুক্তিতে অন্য কিছু থাকা সত্ত্বেও সেই ভাড়া আদায়যোগ্য হবে না।

আইনের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট এলাকায় একজন নিয়ন্ত্রক ও উপ-নিয়ন্ত্রক নিয়োগ দেওয়া যাবে এবং তাদের স্ট্যান্ডার্ড ভাড়া নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে।

'কিন্তু আমরা এই আইনের কোনো প্রয়োগ দেখিনি,' বলেন বাহারানে সুলতান বাহার।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (সিএবি) সভাপতি গোলাম রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ক্রমবর্ধমান ভাড়া বৃদ্ধি চলমান মূল্যস্ফীতির চাপের একটি কজ অ্যান্ড ইফেক্ট।

তিনি আরও বলেন, 'মানুষ দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির চাপে থাকায় বাড়ির মালিকরা ভাড়াটেদের ওপর কিছু বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছেন।'

গোলাম রহমান মন্তব্য করেন, 'ভবনের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যয়ও বেড়েছে, তাই বাড়ির মালিকদের ভাড়া বাড়ানোর যৌক্তিকতা আছে।'

'কিন্তু তার চাপটা পড়ছে নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের ওপর,' যোগ করেন তিনি।

রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহ-সভাপতি কামাল মাহমুদ বলেন, বিদ্যমান আইনের প্রয়োগের অভাবে বাড়ির মালিকরা ভাড়া বাড়াতে পারছেন।

'এ কারণে বছরের পর বছর ধরে সাবলেটের সংখ্যা বাড়ছে,' যোগ করেন তিনি।

তবে বর্তমানে নির্মাণ সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাড়ি ভাড়া আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে বলে মনে করেন তিনি। বিশেষ করে নতুন ভবনের।

২০২৩ সালের প্রথম ছয় মাসে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে জুন পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ২২ শতাংশে।

বিবিএসের বিল্ডিং ম্যাটেরিয়ালস প্রাইস ইনডেক্স অনুযায়ী, এর ফলে সরকারি ও বেসরকারি উভয় নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের ব্যয় বেড়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

From lost playgrounds to booming business

In the memories of those who grew up before the turn of the millennium, the playground was a second home.

2h ago