বাসেল অর্থ পাচার প্রতিরোধ সূচকে বাংলাদেশের ৫ ধাপ উন্নতি

তবে, বাংলাদেশ এখনো পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশীদেশগুলোর চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে।
বাসেল এএমএল ইনডেক্স, বাসেল ইন্সটিটিউট অন গভর্নেন্স, অর্থ পাচার,

বৈশ্বিক অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং (এএমএল) প্রতিরোধ সূচক 'বাসেল এএমএল ইনডেক্স ২০২৩'এ বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে। তবে, বাংলাদেশ এখনো পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার মতো প্রতিবেশীদেশগুলোর চেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে।

২০১২ সাল থেকে বাসেল ইন্সটিটিউট অন গভর্নেন্স প্রতিবছর এই সূচক প্রকাশ করে আসছে। এ বছর বাংলাদেশ তালিকার পাঁচ ধাপ নিচে নেমে ৪৬তম অবস্থানে এসেছে। আগের অবস্থান ছিল ৪১তম।

সূচকে যে দেশের র‌্যাঙ্কিং ও স্কোর যত কম, সেই দেশের অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ ক্ষমতা ততো ভালো।

তবে, পাঁচ ধাপ উন্নতি হলেও সূচকের ১২তম সংস্করণ অনুযায়ী, অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো ৫ দশমিক ৮০ স্কোর নিয়ে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় আছে। যেখানে পাকিস্তানের স্কোর ৫ দশমিক ৪৪ এবং তাদের অবস্থান তালিকার ৬১তম অবস্থানে। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৫ দশমিক ৪২ এবং দেশটির অবস্থান ৬২তম।

পাঁচটি ডোমেইনে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়নে ঝুঁকির ১৮টি সূচকের সমন্বিত সূচকের ভিত্তিতে এই র‌্যাঙ্কিং করা হয়েছে।

ডোমেইনগুলো হলো: অ্যান্টি-মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসবাদের অর্থায়নের কাউন্টার (সিএফটি) কাঠামো, ঘুষ ও দুর্নীতি, আর্থিক স্বচ্ছতা ও মান, জনস্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা এবং আইনি ও রাজনৈতিক ঝুঁকি।

হাইতি, চাদ ও মিয়ানমার যথাক্রমে ৮ দশমিক ২৫, ৮ দশমিক ১৪ ও ৮ দশমিক ১৩ স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে আছে।

সূচক অনুযায়ী, আইসল্যান্ডের অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধের সর্বোত্তম কাঠামো আছে। কারণ দেশটি ২ দশমিক ৮৭ স্কোর নিয়ে তালিকার ১৫২তম স্থানে আছে।

আইসল্যান্ডের পর ফিনল্যান্ড, এস্তোনিয়া, অ্যান্ডোরা ও সুইডেন যথাক্রমে ২ দশমিক ৯৬, ৩, ৩ দশমিক ০৯, ৩ দশমিক ২ নিয়ে পরের চারটি অবস্থানে আছে।

Comments