আইএমএফ ঋণের কিস্তি: সবার চোখ ১২ ডিসেম্বরের বৈঠকের দিকে

আইএমএফের ঋণের কিস্তি
ওয়াশিংটনে আইএমএফ’র সদরদপ্তর। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির জন্য বাংলাদেশের প্রস্তাবটি আগামী সপ্তাহে সংস্থাটির বোর্ড সভায় অনুমোদনের জন্য তোলা হচ্ছে।

বোর্ড সভার সময়সূচি অনুসারে, আগামী ১২ ডিসেম্বর ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির প্রায় ৬৮১ মিলিয়ন ডলার অনুমোদিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদিও বাংলাদেশ দুটি শর্ত পূরণ করতে পারেনি

বৈঠকে যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা আছে সেগুলো হলো—অনুচ্ছেদ ৪ পরামর্শ ও বর্ধিত ঋণ সুবিধা, বর্ধিত তহবিল সুবিধা এবং স্থিতিস্থাপকতা ও স্থায়িত্ব সুবিধার পর্যালোচনা।

চলতি বছরের প্রথমার্ধে আইএমএফ নির্ধারিত ছয়টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে বাংলাদেশ দুটি অর্জন করতে পারেনি।

গত অক্টোবরে আইএমএফ দল দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ সফর করে। এরপর তারা ঋণ কর্মসূচি পর্যালোচনা করে বোর্ডের কাছে বাংলাদেশের প্রস্তাব উপস্থাপন করেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, তারা আশাবাদী যে আইএমএফ বোর্ড সভায় দ্বিতীয় কিস্তির প্রস্তাবটি অনুমোদিত হবে। তারা আইএমএফকে ঋণের দুটি শর্ত পূরণে বাংলাদেশের অপারগতা সম্পর্কে ব্যাখ্যা করেছেন।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'যেহেতু বাংলাদেশের ঋণ প্রস্তাব ইতোমধ্যে আইএমএফ বোর্ডে তোলা হয়েছে, তাই অনুমোদন না পাওয়ার সম্ভাবনা কম।'

দ্বিতীয় কিস্তিতে বাংলাদেশ যে ঋণ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, তা দিয়ে কমপক্ষে ১৫ দিনের খরচ চালানো যাবে।

বাংলাদেশ যেসব শর্ত পূরণ করতে পারেনি সেগুলোর একটি হলো গত জুন শেষে ন্যূনতম ২৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ রাখা।

জ্বালানি, সার ও খাদ্যপণ্যের দাম পরিশোধে সরকারকে রিজার্ভ থেকে খরচ করতে হয়েছিল বলে লক্ষ্যমাত্রা থেকে প্রায় তিন বিলিয়ন ডলার কমেছে।

ন্যূনতম কর-রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করা যায়নি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে কমপক্ষে তিন লাখ ৪৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা কর-রাজস্ব আদায়ের প্রয়োজন ছিল। অর্থ বিভাগের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেষ পর্যন্ত তিন লাখ ২৭ হাজার ৬৬৪ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে। এটি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা কম।

গত ৩০ জানুয়ারি আইএমএফ বোর্ড বাংলাদেশের জন্য চার দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন করে। গত ২ ফেব্রুয়ারি প্রথম কিস্তিতে বাংলাদেশ পেয়েছে ৪৪ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। বাকিগুলো আরও পাঁচ দফায় পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

Cyber Security Ordinance to be announced this week: law adviser

Nine sections have been scrapped from the Cyber Security Act 2023, he says

21m ago