উচ্চ মূল্যস্ফীতির অর্ধেক দায় টাকা অবমূল্যায়নের
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতে, গত অর্থবছরে বাংলাদেশে যে মূল্যস্ফীতি দেখা গেছে তার অর্ধেকই স্থানীয় মুদ্রা টাকার অবমূল্যায়নের কারণে হয়েছে।
চলতি হিসাবে ঘাটতি ও বৈশ্বিক আর্থিক নীতির সংকোচন টাকার ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ফলে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ধরে রাখতে ও বৈদেশিক ভারসাম্য পুনরুদ্ধারে সহায়তা করতে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ডলারের বিপরীতে টাকার প্রায় ২০ শতাংশ অবমূল্যায়ন করেছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরে ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) ৯ দশমিক ০২ শতাংশ বেড়েছে, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরেও এই প্রবণতা অব্যাহত আছে। চলতি বছরের নভেম্বরে গড় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।
টাকার অবমূল্যায়নের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়লেও বিশ্বব্যাপী পণ্যের দাম বৃদ্ধি, জ্বালানির দাম বৃদ্ধিসহ অন্যান্য কারণেও মূল্যস্ফীতি বেড়েছে বলে আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মূল্যস্ফীতির এই উর্দ্ধগতি থামাতে বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছরের মাঝামাঝি থেকে সুদের হার বাড়িয়ে আসছে।
গত ৪ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ব্যাংক পলিসি রেট ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়েছে, যা এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ এককালীন বৃদ্ধি। এখানো পর্যন্ত এ নিয়ে সবমিলিয়ে ২৫০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে।
তবে, দ্বিতীয় ধাপে মূল্যস্ফীতি চাপ কমাতে মুদ্রানীতির নিয়ন্ত্রণ যথেষ্ট ছিল না।
আইএমএফ বলেছে, 'মধ্যমেয়াদে মূল্যস্ফীতিকে কর্তৃপক্ষের লক্ষ্যসীমায় আনতে মুদ্রানীতির আরও কঠোর করা দরকার।'
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'টাকার অবমূল্যায়নের কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, এ বিষয়ে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু, ভোক্তা মূল্যের উচ্চ স্তরের জন্য দায়ী অন্যান্য কারণগুলো আইএমএফ উল্লেখ করেনি।'
তিনি বলেন, 'এর অন্যতম কারণ ছিলো ঋণের উচ্চ প্রবৃদ্ধি, বিশেষ করে বাজেট ঘাটতি মেটাতে নতুন টাকা ছাপিয়ে সরকারে ঋণ নেওয়া। আরেকটি কারণ হলো মার্কিন ডলারের ঘাটতি, যা সরকারকে আমদানি নিয়ন্ত্রণে বাধ্য করেছে।'
তিনি জানান, করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতার অনেক দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।
'কিন্তু, অধিকাংশ দেশেই মূল্যস্ফীতি কমেছে। তবে, বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি, কারণ সঠিক নীতি গ্রহণে বিলম্ব।'
(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে ক্লিক করুন Inflation shock: A weaker taka accounts for half of it এই লিংকে।)
Comments