১১ মাসে কর আদায় বেড়েছে ১৫ শতাংশ

এনবিআর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, আইএমএফ,

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি অর্থবছরের ১১ মাসে কর আদায়ে আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি করেছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে কর আদায়ে সরকারের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা হলো ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা। তবে, মে মাসের শেষে কর আদায় এই লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৫ হাজার কোটি টাকা কম ছিল। আগামী ৩০ জুন অর্থবছর শেষ হবে।

একইভাবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৯৪ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা পূরণ করা কঠিন হতে পারে।

এনবিআরের সাময়িক তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে কর আদায় হয়েছে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা, যা অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার ৭৯ শতাংশ।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'চলতি মাসের রাজস্ব আদায়ের পরও কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রায় বড় অঙ্কের ঘাটতি থাকার আশঙ্কা রয়েছে।'

গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, জুন শেষে মোট কর আদায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে, যা গত মাসের চেয়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা বেশি

এদিকে সরকার ২০২৫ অর্থবছরের জন্য ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যা এ বছরের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ১৭ শতাংশ বেশি এবং গত পাঁচ বছরে এনবিআরের গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধির ১১ শতাংশ থেকেও বেশি।

'বর্তমান পরিস্থিতিতে এ লক্ষ্যমাত্রা যেমন আশাব্যঞ্জক, তেমনি রাজস্ব বোর্ডের জন্য কঠিন কাজও বটে,' বলেন তিনি।

বাংলাদেশের কর-জিডিপি অনুপাত বিশ্বের মধ্যে সর্বনিম্ন এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরে আনুমানিক ৭ দশমিক ৩৮ শতাংশ। আহসান এইচ মনসুর বলেন, 'কর প্রশাসনের দুর্বল ও দুর্নীতিগ্রস্ততার কারণে এ অবস্থা তৈরি হয়েছে।'

তারা এখনো কর আদায়ের জন্য পুরনো পদ্ধতি অনুসরণ করে, যেমনটি ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল।

তিনি বলেন, 'এখানে অটোমেশন ও সঠিক ডাটাবেজের অভাব রয়েছে। অন্যদিকে এনবিআরের অনেক কর্মকর্তা অসাধু ব্যক্তিদের কর ফাঁকিতে সহায়তা করেন।'

এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আহসান মনসুর এনবিআরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিল ট্রাইব্যুনালের সভাপতি মতিউর রহমানের প্রসঙ্গ টানেন। মতিউর রহমানকে সম্প্রতি সম্পদ নিয়ে বিতর্কের জেরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

এই অর্থনীতিবিদের পরামর্শ, এনবিআরে ডিজিটালাইজেশন আনতে হলে অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে এবং যথাযথ সমন্বয় থাকতে হবে। একইসঙ্গে কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তির দিকেও নজর দেওয়া জরুরি।

Comments

The Daily Star  | English

Step up diplomacy as US tariff clock ticks away

Bangladesh must intensify trade diplomacy to protect garment exports from steep US tariffs as the clock runs down on a three-month reprieve, business leaders warned yesterday.

10h ago