কারফিউতে দুগ্ধ খামারিদের আয় কমেছে

কারফিউ
খামারিরা জানিয়েছেন যে দুধ বিক্রি হচ্ছে কম পরিমাণে আবার এর দামও কম। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

সারাদেশে চলমান কারফিউয়ের মধ্যে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান দুধ কেনা বন্ধ বা কমিয়ে দেওয়ায় পাবনা ও সিরাজগঞ্জের দুগ্ধ খামারিদের বিক্রি কমেছে।

কম দামে দুধ বিক্রির জন্য খামারিরা এখন স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ওপর নির্ভর করছেন।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাবনা ও সিরাজগঞ্জের দুগ্ধ খামারিরা প্রতিদিন প্রায় ৩৪ লাখ লিটার দুধ উৎপাদন করেন।

সিরাজগঞ্জ প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, সিরাজগঞ্জে উৎপাদিত ১৯ লাখ লিটারের মধ্যে দুগ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো সাত থেকে আট লাখ লিটার কিনে। বাকিটা স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কিনে থাকেন।

পাবনার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা গৌরাঙ্গ কুমার ডেইলি স্টারকে জানান, জেলায় প্রতিদিন প্রায় ১৫ লাখ লিটার দুধ উৎপাদিত হয়। দুগ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো দেড় থেকে দুই লাখ লিটার দুধ কেনে।

এই অঞ্চলে পরিচালিত অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও মিষ্টির দোকান অবশিষ্ট পরিমাণ দুধ কেনায় শেষ পর্যন্ত দুধ নষ্ট হওয়ার সুযোগ নেই।

পাবনার খামারি আল আমিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠান দৈনিক ৫৫০-৬০০ লিটার দুধ কিনতো। এখন তারা ৩০০-৪০০ লিটার কিনছে।'

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আগে প্রতি লিটারের দাম ৫২ টাকা দিতে পারলেও এখন ৫০ টাকা দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।

পাবনার ডেইরি ফার্ম মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রতি লিটার দুধ উৎপাদনে খরচ হয় ৪৮ থেকে ৫০ টাকা।'

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রামখারুয়া গ্রামের কৃষক মো. রাজু আহম্মেদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাঘাবাড়ীতে সমবায় সমিতিতে স্বাভাবিক দৈনিক বিক্রির পরিমাণ ছিল ৪০ লিটারের ক্ষমতার ২০ জার। এখন তা ১৬ জারে নেমে এসেছে।'

তিনি আরও বলেন, 'দুগ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত কতটুকু ননী আছে তার ওপর ভিত্তি করে যে দাম নির্ধারণ করে, স্থানীয়রা তার চেয়ে কম দাম দেন।'

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

13h ago